রোজায় পানিশূন্যতা রোধে যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন
Published: 6th, March 2025 GMT
চলছে রোজার মাস। দীর্ঘ সময় না খেয়ে কারণে অনেকের শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এ কারণে চিকিৎসকরা ইফতার ও সেহেরিতে পর্যাপ্ত পানি পানের পরামর্শ দেন। অনেকে পর্যাপ্ত পানি না পান করার কারণে পানিশূন্যতায় ভোগেন। বিশেষজ্ঞদের মতে,যখন শরীর পানিশূন্য হয়, তখন বেশ কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে। এ কারণে রোজা রেখে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি রোজা রেখে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। তা না হলে শরীর পানিশূন্য হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
লবণাক্ত খাবার
চিপস, আচার, টিনজাত খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত মাংসের মতো খাবারে লবণ বেশি থাকে। এসব খাবার শরীরকে কোষ থেকে পানি টেনে নিতে বাধ্য করে। যার ফলে দিনের বেলায় পিপাসা বাড়ে। তখন শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে।
ক্যাফিনযুক্ত পানীয়
কফি, চা এবং সোডায় থাকা ক্যাফেইন প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। এর অর্থ হলো এগুলো প্রস্রাব উৎপাদন বাড়ায়, যার ফলে শরীরে দ্রুত পানিশূন্যতা দেখা দেয়। যেহেতু রোজা রেখে পানি খাওয়া যাবে না, তাই সেহরির সময় ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো।
চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয়
মিষ্টি, চিনিযুক্ত পেস্ট্রি, সোডা এবং এনার্জি ড্রিংকের মতো পানীয়ের মতো উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে। এর ফলে শরীরে তৃষ্ণার্ত ভাব আরও বেড়ে যেতে পারে।
ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার
চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এবং অন্যান্য ভাজাপোড়া জাতীয় খাবারে সাধারণত সোডিয়াম এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি বেশি থাকে। এসব খাবার শরীরে পানিশূন্যতার কারণ হতে পারে। এই খাবারগুলি হজম করাও কঠিন। এসব খাবার খেলে শরীরে অলসতা দেখা দেয়। যার ফলে শরীরের হাইড্রেটেড থাকার ক্ষমতা হ্রাস পায়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ন শ ন যত
এছাড়াও পড়ুন:
বিতর্কিত তিন নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১৬ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে আলোচনা শেষে এ নির্দেশ দেন তিনি। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আরো পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টা অনেক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন: ফখরুল
ইউনূস-তারেক বৈঠক
রমজান শুরুর আগের সপ্তাহেও নির্বাচন হতে পারে: যৌথ বিবৃতি
বৈঠকে কমিশন সদস্যগণ জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, “বেশকিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। খুব শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করে ফেলা সম্ভব হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমি আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।”
বৈঠকে লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, “লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তারা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তারা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে, মতামত দিয়েছে। যেখানেই গেছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?’ আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।”
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “সব রাজনৈতিক একমত হয়েছে যে, অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন।”
ঢাকা/হাসান/মাসুদ