বরিশালে চলন্ত বাসে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা
Published: 6th, March 2025 GMT
ঢাকা থেকে বরিশালগামী গ্রীন লাইন পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। তবে, এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল-সানুহারের মধ্যবর্তী মুক্তিযোদ্ধা আয়নাল হোসেনের বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার মো. বিপুল হোসেন বলেন, ‘‘স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় আধাঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কিন্তু, তার আগেই বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বাসের ইঞ্জিন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আগুন দেখতে পেয়ে যাত্রীরা নেমে যাওয়ায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন।’’
স্থানীয় বাসিন্দা শাওন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অগ্নিকাণ্ডের পরে প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।’’
গৌরনদী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
ঢাকা/পলাশ/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে
একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।
এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।
আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।
সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়