নারায়ণগঞ্জে ইপিজেডে দুই-গ্রুপে সংঘর্ষ, ৯টি মোটরসাইকেলে আগুন
Published: 7th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডের ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুই-গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাংবাদিকসহ ১২ জনেরও বেশি আহত এবং ৯টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেলে আদমজী মুনলাইট এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে ধাওয়াপাল্টা ধাওয়া ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-চিটাগাং রোডে প্রায় ১ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চরম দুর্ভোগে পড়ে যাত্রী সাধারণ। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
স্থানীয়রা জানান, আদমজী ইপিজেডের ইউনিভার্সেল নামক একটি গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর ও রুহুল আমিন নামে এক বিএনপি নেতার সহযোগীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। রুহুলের সহযোগীরা ইপিজেডের ভেতরে সাগরের সহযোগীদের মারধর করে। এর জের ধরে সাগর বাহিনী মুনলাইট এলাকায় ব্যাপক তান্ডব চালায়। এসময় তারা গুলি বর্ষণ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, সড়কে ৯টি মোটসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। পাশের সফর আলী ভুইয়া মার্কেটে ঢুকে দোকান-পাট ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
এ সময় সোহাগ নামে এক যুবককে প্রকাশ্যে অস্ত্র তাক করে গুলি করতে দেখা যায়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলাকালীন সংঘর্ষে নুর আলম, রবিউল, আলামিন রুহুলসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। এছাড়াও সংঘর্ষের ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গেলে স্থানীয়
ফটো সাংবাদিক মো.
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, “আমাদের দলের কিছু নামধারী নেতা-কর্মী
পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমি এসব হাইব্রিডদের সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”
এদিকে বিএনপি নেতা রুহুল আমিন বলেন, “ইপিজেডের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নিতে নিতে সাগরের লোকজন আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ১০/১২ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুর আলম বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যসহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। অপরাধীদের ধরতে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।”
ঢাকা/অনিক/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র য ণগঞ জ আম দ র স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।