আগামী ২৫ মার্চ বাংলাদেশের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপের ফাইনাল রাউন্ডের বাছাইপর্ব খেলবে ভারত। সিলংয়ের ওই ম্যাচে বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হতে যাচ্ছে প্রিমিয়ার লিগে খেলা মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। লেস্টার সিটি থেকে ধারে শেফিল্ডে যোগ দেওয়া হামজা খেললে লাল-সবুজের শক্তি অনেকটাই বেড়ে যাবে। কারণ বর্তমান দক্ষিণ এশিয়ার সেরা ফুটবলার যে হামজা। 

যে কারণে ভারতের ৪০ বছর বয়সী স্ট্রাইকার সুনীল ছেত্রীকে অবসর ভাঙিয়ে জাতীয় দলে ফেরানো হয়েছে। বাংলাদেশ ম্যাচের আগে মালদ্বীপের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ভারত। এরপর বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে। ওই ম্যাচের জন্য ভারতের ঘোষিত ২৬ জনের দলে আছেন সুনীল। 

সুনীল ছেত্রী গত বছরের জুনে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ভারতের হয়ে ৯৪ গোল করেছেন তিনি। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে এএফপি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচটি তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে সুনীলকে দলে ফেরানো হয়েছে। 

ফেডারেশন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছে, ‘এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টুর্নামেন্টের গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং ওই টুর্নামেন্টের যেতে যেসব ম্যাচ খেলতে হবে তা বিবেচনা করে সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি অবসর ভেঙে ফিরতে রাজি হন, এরপরই তাকে দলে যুক্ত করা হয়েছে।’

ভারত ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের এবারের দলটা শক্তিশালীই মনে হচ্ছে। অভিজ্ঞ জামাল ভূঁইয়া দলে আছেন। হামজার সঙ্গে আছেন আরও দুই প্রবাসী তারেক কাজী ও ইতালির লিগে খেলা ফাহমেদুল। রাকিব-মোরসালিনরা তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে খেলতে পারলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা যেতে পারে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

সেজনি: অবসর ভেঙে ফিরে বার্সার হয়ে ইতিহাস লিখছেন যিনি

২০২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতের কথা। ভিয়ারিয়ালের মাঠে ভিয়ারিয়ালকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে লিগে টানা ষষ্ঠ জয় আদায় করে নেয় বার্সেলোনা। কিন্তু জিতেও যেন স্বস্তি ছিল না বার্সা শিবিরে। হাঁটুতে মারাত্মক চোট পেয়ে যে স্ট্রেচারের করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে শূন্যে লাফিয়ে বল ধরার পর পড়ে গিয়ে ডান হাঁটুতে এই চোট পান জার্মান গোলরক্ষক।

সে সময়েই বোঝা যাচ্ছিল, খারাপ কোনো খবর পেতে যাচ্ছে বার্সেলোনা। হয়েছেও তাই। জানা যায়, গুরুতর এই চোটে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে টের স্টেগেনের। দলের প্রধান গোলরক্ষককে হারিয়ে বার্সার তখন পাগলপ্রায় দশা।

ইনিয়াকি পেনিয়া দ্বিতীয় গোলরক্ষক হিসেবে থাকলেও মৌসুমজুড়ে তাঁর ওপর আস্থা রাখা কঠিনই ছিল। আর কোনো কারণে যদি তাঁকেও হারাতে হয়, তখন কী হবে! সব মিলিয়ে বার্সার আরেকজন গোলরক্ষককে দলে টানা জরুরি হয়ে দাঁড়ায়।

কিন্তু লা লিগার দলবদলের দুয়ার তখন বন্ধ হওয়ায় বিকল্প পথের সন্ধান করতে হয় বার্সাকে। এর মধ্যে একটা পথ পেয়েও যায় তারা। স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) বিশেষ শর্ত মেনে গোলরক্ষক ভেড়ানোর সুযোগ পায় কাতালান ক্লাবটি। শর্তটি হচ্ছে চোটাক্রান্ত খেলোয়াড়টিকে চার মাসের বেশি সময়ের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যেতে হবে।

আরও পড়ুনআলিসন ও সেজনি: মানব থেকে অতিমানব০৬ মার্চ ২০২৫

পাশাপাশি যে খেলোয়াড়টি তারা নেবে, তাঁকে ফ্রি এজেন্ট হতে হবে এবং দলবদল শেষ হওয়ার আগেই আগের ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি শেষ করতে হবে। এ ছাড়া নতুন যে গোলরক্ষককে তারা কিনবে, তাঁকে আহত গোলরক্ষকের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন দেওয়ার অনুমতি পাবে ক্লাবটি। যেমন বার্সায় টের স্টেগেন বেতন পান বছরে ৯০ লাখ ইউরো। এখন নতুন গোলরক্ষকের বেতন হতে পারবে বছরে সর্বোচ্চ ৭০ লাখ ইউরো।

এত শর্ত মেনে খেলোয়াড় খুঁজে বের করা সহজ ব্যাপার ছিল না। কিন্তু এই কঠিন শর্তই বার্সাকে পৌঁছে দেয় ভয়চেক সেজনির কাছে। যিনি এক মাস আগে অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট জুভেন্টাসের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে চুক্তি ছিন্ন করে হয়ে যান ফ্রি এজেন্ট।  

দলের সঙ্গে ট্রফি হাতে সেজনির উদ্‌যাপন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩ কর্মকর্তার অবসর ও বরখাস্তের আদেশ আদালতে বহাল
  • ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলো বিএসইসি
  • বাবার মরদেহ দুই বছর লুকিয়ে রাখেন সন্তান
  • সেজনি: অবসর ভেঙে ফিরে বার্সার হয়ে ইতিহাস লিখছেন যিনি