রমজানে পর্যটকশূন্য হয়ে পরেছে কুয়াকাটা। এতে বেকার দিন কাটাচ্ছে এখানকার অন্তত ১৬ ধরনের পেশার কয়েক হাজার মানুষ।
শুক্রবার সৈকতের সবগুলো পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, রমজানের শুরুর দিন থেকেই পর্যটকশূন্য রয়েছে এই সৈকত। গত শুক্রবারও সৈকতে টইটম্বুর ছিল পর্যটকে সেখানে এখন পর্যটকে হাহাকার। পর্যটক না থাকায় সৈকতে থাকা ছাতা, বেঞ্চ গুছিয়ে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। ঝিনুক ব্যবসায়ীরাও তাদের স্টলগুলো বন্ধ রেখেছেন। তবে কিছু দোকানিরা সকালে দোকান খুলে বসলেও সন্ধ্যা নামার আগেই তা বন্ধ করেছন।
শুধু শুঁটকি, ছাতা, বেঞ্চ বা ঝিনুক ব্যবসায়ীরাই নয় পর্যটনকেন্দ্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রায় দুইশ’র বেশি হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা পাচ্ছেন না একটি রুম বুকিং দেয়ার মত পর্যটক। তবে তাদের আশা রমজানের প্রথম দিকে পর্যটক না পেলেও শেষের দিকে কিছু পর্যটক পাবেন।
কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফার আ.
সৈকতের আচার দোকানি নাসির উদ্দিন জানান, রমজানের শুরুটা পর্যটকশূন্য হলেও ১০ রমজানের পরে পর্যটকের আমগন ঘটবে এমনটা মনে হচ্ছে। বর্তমানে পর্যটক নেই তাই অনেক দোকান বন্ধ রয়েছে। আমরা কিছু দোকান খুলে সময় কাটাচ্ছি তবে ইফতারের আগে বন্ধ করে ফেলি।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, রমজান মাসের প্রথম দিকে পর্যটক তুলনামূলক অনেকটাই কম থাকে। তবে আমরা ১০-১৫ রমজানে কিছু বুকিং পেয়েছি। সেই সঙ্গে ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় অগ্রিম ভালো বুকিং আসা করছি।
ট্যুরস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, বর্তমানে কুয়াকাটায় পর্যটক নেই কিন্তু আমাদের টহল টিম এখনও সৈকতে দায়িত্ব পালন করছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।