রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলার সুযোগ পান না। তবে নাগরিকত্ব পরিবর্তন করলে সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে না। এই সুযোগ কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার মোহাম্মদ আমির। তার স্ত্রী নারজিস খাতুন ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ায় তিনিও যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।

আমিরের আশা, আগামী বছর নাগাদ তিনি ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন, যা তাকে আইপিএলে খেলার সুযোগ করে দেবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগামী বছর নাগরিকত্ব পেলে আমার আইপিএল খেলার সুযোগ তৈরি হবে। যদি সুযোগ পাই, তাহলে কেন খেলব না? আমি আইপিএল খেলতে চাই এবং আশা ছাড়ছি না।’

যদিও পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের আইপিএলে খেলার অনুমতি নেই, তবে ধারাভাষ্য ও কোচিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন অনেকে। ওয়াসিম আকরাম একসময় কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিং কোচ ছিলেন, রমিজ রাজা ধারাভাষ্য দিয়েছেন, আর আজহার মাহমুদ ২০১২ সালে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নিয়ে আইপিএলে খেলেছেন। সেই পথেই হাঁটতে চান আমির।

আইপিএলে সুযোগ পেলে কোন দলে খেলতে চান—এই প্রশ্নের উত্তরে আমির জানিয়েছেন, তিনি বিরাট কোহলির ভক্ত এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলতে চাইবেন। ‘আমি কোহলির প্রতিভাকে শ্রদ্ধা করি। সে আমাকে ব্যাট উপহার দিয়েছিল, যা দিয়ে আমি খেলেছিও। আমার বোলিংও সে পছন্দ করে। তাই বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলতে পারলে ভালো লাগবে’, বলেন আমির।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে দূর্বৃত্তদের গুলি

ফতুল্লায় কুতুবপুর ইউনিয়নের পাগলা বাজার এলাকায় মোটর সাইকেল যোগে এসে আফসার করিম প্লাজার মালিক নান্টু নামের এক ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে ৩ রাউন্ড গুলি করেছেন দুর্বৃত্তরা।  বৃহস্পতিবার (১ মে) রাত ৮টার দিকে পাগলা বাজার আফসার করিম প্লাজার সামনে ঘটনা ঘটে। 

এ বিষয়ে প্রতক্ষ্যদর্শী ফল ব্যবসায়ী উত্তম  সাংবাদিকদেট জানান, আমি রাস্তার পাশে ফল নিয়ে বসে ছিলাম এমন সময় দেখলাম পাগলা বাজার আবসার করি প্লাজারের মালিক আলহাজ্ব নান্টু সাহেব অপর এক দোকান থেকে ফল কিনছিলেন। 

এমন সময় তিনি গাড়িতে উঠার সময় তাকে লক্ষ্য করে দুইজন যুবক এলোপাথারি বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়, গুলির সময় ব্যবসায়ী নান্টু তার  ব্যবহৃত প্রাইভেট কারে দ্রুত  উঠে পড়েন। পরে সেখান থেকে তিনি গাড়ি নিয়ে ফতুল্লার দিকে  চলে যান। অপরদিকে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা মোটর সাইকেল নিয়ে ঢাকার শ্যামপুরের দিকে পালিয়ে যায়।

ঘটনাস্থলে গাড়িতে গুলি করা কাচঁ  পরে থাকতে দেখা যায়। কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি,  এ ঘটনার পর থেকে পাগলা বাজার ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছেন।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম  জানান আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি প্রাথমিকভাবে ঘটনা সত্যতা পাওয়া গেছেন তদন্তপূর্বক আইনগনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ