স্ত্রীর হাত ধরে আইপিএল খেলার ইচ্ছা আমিরের
Published: 8th, March 2025 GMT
রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলার সুযোগ পান না। তবে নাগরিকত্ব পরিবর্তন করলে সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে না। এই সুযোগ কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার মোহাম্মদ আমির। তার স্ত্রী নারজিস খাতুন ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ায় তিনিও যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
আমিরের আশা, আগামী বছর নাগাদ তিনি ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন, যা তাকে আইপিএলে খেলার সুযোগ করে দেবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগামী বছর নাগরিকত্ব পেলে আমার আইপিএল খেলার সুযোগ তৈরি হবে। যদি সুযোগ পাই, তাহলে কেন খেলব না? আমি আইপিএল খেলতে চাই এবং আশা ছাড়ছি না।’
যদিও পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের আইপিএলে খেলার অনুমতি নেই, তবে ধারাভাষ্য ও কোচিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন অনেকে। ওয়াসিম আকরাম একসময় কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিং কোচ ছিলেন, রমিজ রাজা ধারাভাষ্য দিয়েছেন, আর আজহার মাহমুদ ২০১২ সালে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নিয়ে আইপিএলে খেলেছেন। সেই পথেই হাঁটতে চান আমির।
আইপিএলে সুযোগ পেলে কোন দলে খেলতে চান—এই প্রশ্নের উত্তরে আমির জানিয়েছেন, তিনি বিরাট কোহলির ভক্ত এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলতে চাইবেন। ‘আমি কোহলির প্রতিভাকে শ্রদ্ধা করি। সে আমাকে ব্যাট উপহার দিয়েছিল, যা দিয়ে আমি খেলেছিও। আমার বোলিংও সে পছন্দ করে। তাই বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলতে পারলে ভালো লাগবে’, বলেন আমির।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাক্তন প্রেমিক মিঠুনের জন্মদিনে যে বার্তা দিলেন মমতা
ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। ভারতীয় বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি যেমন শাসন করেছেন, তেমনি বলিউডেও নিজের মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। অভিনয় গুণে মিঠুন কুড়িয়েছেন যশ-খ্যাতি।
১৯৫০ সালের ১৬ জুন জন্মগ্রহণ করেন মিঠুন। আজ পঁচাত্তর পূর্ণ করে ছিয়াত্তর বছর বয়সে পা দিতে যাচ্ছেন। বিশেষ দিনে মিঠুনকে নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তার প্রাক্তন প্রেমিকা-অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর।
জন্মদিন উপলক্ষে মিঠুনের উদ্দেশ্যে মমতা শঙ্কর বলেন, “প্রিয় মিঠুন, সুস্থ থাক। সবাইকে নিয়ে ভালো থাক। খুশিতে ও আনন্দে থাক। আরো ভালো ভালো কাজ আমাদের উপহার দে। সাই বাবার কাছে তোর জন্য সারাক্ষণই প্রার্থনা করি।”
আরো পড়ুন:
অক্ষয়ের সিনেমার আয় ৩৩২ কোটি টাকা ছাড়িয়ে
আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান
মিঠুনের সঙ্গে পরিচয়ের কথা মনে করে মমতা শঙ্কর বলেন, “মিঠুনের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা মৃণালদার বাড়িতে। তখন ‘মৃগয়া’ নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। আমার আর মিঠুনের জীবনের প্রথম সিনেমা এটি। কত স্মৃতি। কোনটা ছেড়ে কোনটা বলব।”
শুটিং সেটে এবং সেটের বাইরে মমতার সঙ্গে খুবই রসিকতায় মেতে উঠতেন মিঠুন। স্মৃতিচারণ করে মমতা শঙ্কর বলেন, “বাবা, মিঠুন, দারুণ বিচ্ছু। সারাক্ষণ ওর রসিকতা। সবার পিছনে লাগত। আমিও ছাড় পেতাম না। ২৪ ঘণ্টা ওর মাথার মধ্যে দুষ্টুবুদ্ধি ঘুরত। আমাকে খুব লেগ পুল করত। আর আমি রেগে যেতাম। সে কী বলব!”
২০২৬ সালে ‘মৃগয়া’ সিনেমার ৫০ বছর পূর্তি হবে। সেই সূত্রে মিঠুন-মমতারও অভিনয় ক্যারিয়ার ৫০ বছরে পা দেবে। এই বিষয়টা মমতার মনকে বেশ প্রফুল্ল করে তুলেছে!
ভারতীয় বাংলা সিনেমার গুণী অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্করের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বিয়ের দিন-তারিখও চূড়ান্ত হয়েছিল। ছাপানো হয়েছিল বিয়ের কার্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাতপাকে বাঁধা পড়েননি এই যুগল। মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর মমতা চন্দ্রোদয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সবকিছু ভুলে এখনো এ জুটির বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে।
দেব প্রযোজিত ‘প্রজাপতি’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন মিঠুন-মমতা। এ অভিনেত্রী বলেন, “মিঠুন আমার বন্ধু, সারাজীবন থাকবে। হ্যাপি বার্থ ডে মিঠুন। সব্বাইকে নিয়ে তুই খুব ভালো থাকিস।”
ঢাকা/শান্ত