বন্ধুকে জিম্মি করে কলেজছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
Published: 8th, March 2025 GMT
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে গিয়ে এক কলেজছাত্রী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার বেলা দেড়টার দিকে গুলিয়াখালী সৈকতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ভুক্তভোগী। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। বিকেল ৩টার দিকে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী জানান, তিনি দুপুরে এক ছেলে বন্ধুর সঙ্গে সৈকতে ঘুরতে যান। একপর্যায়ে চার যুবক তাদের জিম্মি করে উপকূলের ঝাউবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে ছেলেটিকে মারধর করে ঝাউগাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে জিম্মি করে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান।
ওই কলেজছাত্রী বলেন, ‘ধর্ষণকারীদের হাত থেকে রেহাই পেতে অনেক আকুতি-মিনতি করেছি। তাদের পায়েও ধরেছি। কিন্তু তারপরও তাদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারিনি।’
স্থানীয় বাসিন্দা মুন্না বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে ওই তরুণীকে উদ্ধার করেছি। তার চোখেমুখে ছিল ভয়ের ছাপ। তিনি দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, সী-বিচে পযাপ্ত কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। বিভিন্ন সময়ে পর্যটকদের বখাটেদের হয়রানির শিকার হতে হয়।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল।
আরো পড়ুন:
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস
চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।
জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।
এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।
ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী