মোশাররফ করিমের ‘চক্কর’ মুক্তি পাবে ঈদে, থাকছে এক ডজন নাটকেও
Published: 9th, March 2025 GMT
টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতাদের একজন মোশাররফ করিম। স্বাভাবিকভাবেই প্রতি বছরে ঈদে বৈচিত্র্যময় সব নাটক দিয়ে আলোচনায় থাকেন এই অভিনেতা। এ উৎসবে নাটক ও ওয়েব কনটেন্টের পাশাপাশি মুক্তি পাচ্ছে মোশাররফ করিম অভিনীত অভিনীত দুই সিনেমা। এগুলো হলো ‘বিলডাকিনি’ ও ‘চক্কর ৩০২’। সরকারি অনুদানে নির্মিত দুটি সিনেমাই মুক্তির জন্য ছাড়পত্র নেওয়া আছে। কয়েকবার বিলডাকিনির মুক্তির কথা শোনা গেলেও চুপ ছিলেন চক্করের নির্মাতা।
অবশেষে জানা গেলো, আলোর মুখ দেখছে সিনেমা দুটি। আসছে রোজার ঈদে মুক্তি পাবে ‘চক্কর ৩০২’, আর ‘বিলডাকিনি’র মুক্তির পরিকল্পনা করা হচ্ছে পহেলা বৈশাখে। প্রতিবারের মতো এবার রোজার ঈদেও সিনেমা মুক্তির মিছিলে যোগ দিয়েছে শাকিব খানের ‘বরবাদ’, সিয়ামের ‘জংলি’, আফরান নিশোর ‘দাগি’, সজল-ফারিয়ার ‘জ্বীন থ্রি’। এই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে মোশাররফ করিমের ‘চক্কর ৩০২’।
ঈদে চক্করের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনেমার নির্মাতা শরাফ আহমেদ জীবন। এই সপ্তাহেই আসবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। প্রচার শুরু হবে ১০ রমজান থেকে। শরাফ আহমেদ জীবন বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল সিনেমাটি কোনো উৎসবে মুক্তি দেওয়ার। সে হিসেবে রোজার ঈদে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে। ১০ রমজান থেকে টানা প্রচার শুরু হবে। টিজার, ট্রেলার, গান প্রকাশসহ প্রচারের আরও পরিকল্পনা আছে।’
চক্কর ৩০২ সিনেমায় মোশাররফ করিম অভিনয় করেছেন একজন তদন্ত কর্মকর্তার চরিত্রে। নির্মাতা জানান, খুনের তদন্তের পাশাপাশি মানবিক একটি গল্প উঠে এসেছে সিনেমায়। সেই গল্প তদন্ত কর্মকর্তাকে ঘিরেই এগিয়েছে। এই সিনেমায় মোশাররফ করিমের স্ত্রীর চরিত্রে আছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু।
ঈদের পরপরই বাংলা নববর্ষ। সেই উৎসবেও প্রেক্ষাগৃহে থাকবেন মোশাররফ করিম। নির্মাতা ফজলুল কবির তুহিন জানান, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিলডাকিনি মুক্তির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর আগে কয়েকবার তারিখ ঠিক করেও মুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন নির্মাতা। সবশেষ গত ২৪ জানুয়ারি মুক্তির কথা ছিল সিনেমাটি।
নির্মাতা তুহিন বলেন, ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তখন মুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলাম। আমাদের এখানে প্রতি ঈদের সময় হলে দর্শকের সমাগম দেখা যায়। বন্ধ থাকা হলগুলোও খোলা হয়। সেই রেশ থাকতেই বৈশাখ উপলক্ষে দর্শকের সামনে বিলডাকিনি নিয়ে আসতে চাই।’
নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীরের উপন্যাস ‘বিলডাকিনি’ অবলম্বনে একই নামে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। এতে উঠে আসবে নারীশক্তি ও মাতৃত্বের স্বাধীনতার গল্প। প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম ও পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী পার্ণো মিত্র।
এ ছাড়াও মোশাররফ করিমকে ঈদুল ফিতরের ডজন নাটকেও দেখা যাবে বলে জানা গেছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সিডনিতে ড্র অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কেউ না থাকায় হতাশ প্রবাসীরা
সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে সিডনির ঐতিহাসিক টাউন হল যেন পরিণত হলো এক রঙিন উৎসবের মঞ্চে। ঝকঝকে আলোর ঝলকানি, দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা আর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দলে দলে আসা অতিথিদের পদচারণে মনে হচ্ছিল এ যেন কোনো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব বা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। অথচ এটি ছিল ২০২৬ নারী এশিয়ান কাপ ফুটবলের ড্র অনুষ্ঠান, যেখানে এশিয়ার সেরা নারী ফুটবল দলগুলোর ভাগ্য নির্ধারিত হচ্ছিল।
বিকেল সাড়ে পাঁচটায় দরজা খোলার আগেই টাউন হলের সামনে জড়ো হয়েছিলেন নানা দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। তাঁদের হাতে নিজ নিজ দেশের পতাকা, পরনে ঐতিহ্যবাহী পোশাক। অস্ট্রেলিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া, জাপান, ভারত, ভিয়েতনাম, উজবেকিস্তান, ফিলিপাইন, ইরানসহ ১১টি দেশের ফুটবল দলের প্রতিনিধি, অধিনায়ক বা কোচের কেউ না কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ব ফুটবলের এই মিলনমেলায় সবাই নিজ দেশের নাম উজ্জ্বল করতে এসেছেন। কিন্তু এই আলো ঝলমলে মঞ্চে ছিলেন না বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের কোনো প্রতিনিধি।
অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্ব ফুটবলের এত বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি আয়োজন হলো, অথচ বাংলাদেশের কোনো প্রতিনিধি নেই—এটা মেনে নেওয়া যায় না, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এখানে এসেছিলাম আমাদের মেয়েদের দেখতে, নিজেদের দেশের জার্সি গায়ে দেওয়া তারকাদের সঙ্গে ছবি তুলতে চেয়েছিলাম।সাঈদ ফয়েজ, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংস্কৃতিক কর্মী ও ইভেন্ট সংগঠকঅথচ এটা বাংলাদেশের জন্য ইতিহাস গড়ার বছর। এই প্রথম বাংলাদেশের মেয়েরা এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছেন। কিন্তু সেই গৌরবময় মুহূর্তে, যখন বিশ্ব ফুটবল পরিবার সিডনিতে একত্র, তখন মঞ্চে অনুপস্থিত বাংলাদেশ। না কোনো ফুটবলার, না কোচ, না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কোনো কর্মকর্তা। এই অনুপস্থিতি ছিল অত্যন্ত দৃষ্টিকটু এবং বেদনাদায়ক, কারণ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ভারতের তারকা খেলোয়াড়সহ অন্যান্য দেশের ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা। তাঁরা ট্রফির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, বিশ্ব গণমাধ্যমের সামনে নিজেদের দেশকে তুলে ধরেছেন, আর স্মৃতির ক্যামেরায় ধরে রাখছেন ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বের জায়গাটিতে খাঁ খাঁ শূন্যতা।
ভারত নারী দলের মিডফিল্ডার সংগীতা বাসফোর ড্র–তে বাংলাদেশের নাম তোলেন