ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন  দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন, মো.আশরাফুল  ও দীপ সরকার।  তাঁরা পেশায় অটো রিকশাচালক।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  মাযহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন,  স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে ওই নারী কয়েকদিন আগে ঢাকায় আসেন। তিনি কাজ খুঁজছিলেন । ঢাকায় এসে একটি মাজারে আশ্রয় নিয়েছিলেন।  গতকাল রাতে কেরানীগঞ্জে গেলে তিন অটোরিকশাচালক ওই নারীকে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

ওসি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে শনাক্তের পর দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরেকজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগী ওই নারীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার (ওসিসি)  পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, ওই নারী হিন্দু সম্প্রদায়ের।  পরিবারকে না জানিয়ে এক মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করেছিলেন। স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ার পরে তিনি বাবার বাড়িতে যান।  কিন্তু পরিবার তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে তিনি ঢাকায় কাজের খোঁজে  চলে আসেন। ওই নারী জানিয়েছেন তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ওই ন র এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

সিলেটের জকিগঞ্জে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৬) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রথমে দুই শিক্ষার্থীর ছবি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন বলে এ ঘটনায় করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

গত শনিবার সকালে উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী আজ বুধবার সকালে জকিগঞ্জ থানায় মামলা করেছে।

মামলায় আসামি হিসেবে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের নিদনপুর গ্রামের ইমরান আহমদ (২৩), খিলগ্রামের তানজিদ আহমদ (১৮), মাইজগ্রামের শাকের আহমদ (২৪), একই গ্রামের শাকিল আহমদ (২১) ও মনতৈল গ্রামের মুমিন আহমদ (২০)।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ২৬ জুলাই সকালে বারহাল ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় এক সহপাঠীকে নিয়ে বেড়াতে যায়। সেখানে অভিযুক্ত পাঁচ তরুণ গোপনে তাঁদের ছবি ধারণ করেন। পরে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত তরুণেরা দুই শিক্ষার্থীকে বিষয়টি কাউকে জানানো হলে তাঁদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখান।

এদিকে ঘটনার তিন দিন পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে এলাকার একটি পক্ষ বিষয়টি সালিস বৈঠকে মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাতে জকিগঞ্জ থানা-পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ দিতে বিলম্ব ও বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া জকিগঞ্জ ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা অবৈধ পথে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারেন বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।

জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। আজ সকালে মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ