আগামীকাল সোমবার থেকে পূর্ব রেলের চট্টগ্রাম থেকে চলাচলকারী ৯টি ট্রেনের চলাচলের সময় পাল্টাচ্ছে। নতুন ওয়ার্কিং টাইম টেবিল-৫৪ অনুযায়ী ট্রেন ছাড়া ও গন্তব্যে পৌঁছার সময়ে কিছুটা কম-বেশি করা হয়েছে।

নতুন সূচি অনুসারে, আন্তঃনগর ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে সাড়ে ৭ টার বদলে সকাল ৭ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে। একই ট্রেন ঢাকা থেকে আগের সূচি অনুযায়ী বিকাল সাড়ে ৪ টায় ছাড়বে।

পূর্ব রেলের বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক এবিএম কামরুজ্জামান বলেন, “নতুন সূচিতে সোমবার থেকে ট্রেন চলাচল করবে। এজন্য টিকেট বিক্রিও সে হিসাবে করা হয়েছে। কয়েক বছর পর পর ট্রেনের সিডিউল নতুন করে করা হয় থাকে। এত করে ট্রেন ছাড়া ও পৌঁছার সময়ে পরিবর্তন করা হয়ে থাকে।”

জানা গেছে, ১০ মার্চ (সোমবার) থেকে নতুন সময় অনুযায়ী ট্রেন চলাচল করবে। এতে কিছু ট্রেনের সময়সূচিতে সামান্য পরিবর্তন এসেছে।

পূর্ব রেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে সিলেট, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও কক্সবাজারের পথে মোট ১৫টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে থাকে। এর মধ্যে ৯টি ট্রেনের চলাচলের সময়সূচিতে কিছুটা হেরফের হয়েছে।

ট্রেনগুলোর মধ্যে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে বিকাল পৌনে ৫টার বদলে ৫টায় ছাড়বে। একই ট্রেন ঢাকা থেকে প্রতিদিন সকাল ৭টায় আগের সময়ই ছাড়বে।

চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেস নতুন সূচিতে সন্ধ্যা ৬টার বদলে বিকাল সোয়া ৫টায় ছাড়বে। একই ট্রেন চাঁদপুর থেকে সকাল ৫টাতেই ছাড়বে।

জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ার সময় সকাল সোয়া ৯টায় ঠিক থাকলেও জামালপুর থেকে ছাড়ার সময় বদলেছে। রাত ৮টা ১০ মিনিটের বদলে ছাড়বে রাত ৮টায়।

অন্যদিকে ঢাকামুখী চট্টলা এক্সপ্রেস আগের সময় সকাল ৬টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে, কিন্তু ঢাকা থেকে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের বদলে ছাড়বে ২টা ১৫ মিনিটে।

এছাড়া কক্সবাজার এক্সপ্রেস কক্সবাজার থেকে বেলা ১২টা ৪০ মিনিটের সাড়ে ১২টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে। অপরদিকে পর্যটক এক্সপ্রেস রাত সাড়ে ৮টার বদলে সন্ধ্যা পৌনে ৮টায় কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্য চলাচলকারী সৈকত ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়েও কিছুটা হেরফের হয়েছে। প্রবাল এক্সপ্রেস কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ১০টা ৩৫ মিনিটের বদলে ১০টা ২০ মিনিটে ছাড়বে। সৈকত এক্সপ্রেস রাত সোয়া ৮টার বদলে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছাড়বে রাত ৮টায়।

সবশেষ ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর পূর্ব রেলের সময় সূচির পরিবর্তন করা হয়েছিল।

ঢাকা/হাসান/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট র বদল স মব র র সময়

এছাড়াও পড়ুন:

অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।

২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।

ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।

রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
  • ট্রাম্প কি রাজার শাসন চালাচ্ছেন