সাম্প্রতিক নারী নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করছে।

রোববার খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘আহত যোদ্ধাদের পাশে বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জুলাই আন্দোলনে আহতদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা যে সাহস দেখিয়েছেন তা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণ করিয়ে দেয়। অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে আপনাদের পাশে দাঁড়ানো। শহীদ ও আহতদের কাছে আমরা সবাই ঋণী।’

উপদেষ্টা বলেন, শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের যে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তা যথেষ্ট নয়। তাদের আত্মত্যাগেই বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে, ফ্যাসিবাদ পালিয়েছে। যতদিন প্রয়োজন সরকার ততদিন আহতদের চিকিৎসাসুবিধা দেবে। এজন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি অধিদপ্তর হচ্ছে। ফাউন্ডেশেনের প্রধান নির্বাহী ও শহীদ মীর মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, জুলাই আন্দোলনের স্পিরিট ধরে রাখতে হবে। এজন্য রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে জুলাই বিপ্লবে খুলনায় আহত ৬১ জনের মধ্যে ৪০ জনের প্রত্যেককে এক লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়। এ নিয়ে মোট ৫৩ জন আর্থিক সহায়তা পেলেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ। পরে উপদেষ্টা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ‘শহীদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ উদ্বোধন করেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আব্দুল মজিদ, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. হারুনর রশীদ খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মুগ্ধের বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমানও বক্তব্য দেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপ চ র য অন ষ ঠ ন উপদ ষ ট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সাজেকে চান্দের গাড়ি খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহত

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় চান্দের গাড়ি খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পর্যটনকেন্দ্র সাজেকে যাওয়ার পথে হাউসপাড়া নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ১২ জন আহত হয়েছেন।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম মোছা. রুবিনা আফসানা (রিংকী)। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। আহতদের মধ্যে ১১ জন একই বিভাগের শিক্ষার্থী এবং একজন শিক্ষক বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন:

হবিগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

কুমিল্লায় অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২

স্থানীয় সূত্র জানায়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি দল খাগড়াছড়ি থেকে চান্দের গাড়িতে করে সাজেক যাচ্ছিল। পথে হাউসপাড়া এলাকায় উঁচু পাহাড়ে উঠতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে রুবিনা আফসানা নামের ওই শিক্ষার্থী মারা যান। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা মারজান বলেন, ‘‘দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’

ঢাকা/শংকর/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুবি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দুরপাল্লার শিক্ষা সফর বাতিল ঘোষণা
  • সাজেকে চান্দের গাড়ি খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহত