Risingbd:
2025-07-31@08:28:51 GMT

কারা এই আলাউই?

Published: 9th, March 2025 GMT

কারা এই আলাউই?

সিরিয়ার নতুন শাসক আল–শারার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের আলাউই সম্প্রদায়ের যোদ্ধাদের সংঘর্ষে হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। হঠাৎ করেই গত সপ্তাহে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। কারা এই আলাউই সম্প্রদায়, তাদের ওপর নতুন সরকারের এতো ক্ষোভই বা কেন?

সিরিয়ার আলাউইরা একটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১২ শতাংশ তারা। শিয়া ইসলাম থেকে উদ্ভূত, তাদের স্বতন্ত্র বিশ্বাস এবং আচার-অনুষ্ঠান রয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে, আলাউইরা সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে, বিশেষ করে লাতাকিয়া এবং তারতুস প্রদেশে কেন্দ্রীভূত।

২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়া শাসনকারী আসাদ পরিবার আলাউই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। তাদের শাসনামলে আলাউইরা সামরিক বাহিনী এবং সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিল। 

আসাদ পরিবারের অনুগত সশস্ত্র যোদ্ধারা সম্প্রতি দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। এতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার আসাদের অনুগত সশস্ত্র ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। একইসময় সশস্ত্র সুন্নি গোষ্ঠীগুলো আলাউইদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড শুরু করে। এ ঘটনা সিরিয়ার সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে আরো গভীর করে তোলে। এই উত্তেজনা বৃদ্ধি আসাদকে ক্ষমতা থেকে অপসারণে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালনকারী হায়াত তাহরির আল-শামের কর্তৃত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আলাউই গ্রামগুলোতে ভয়াবহ দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছেন, যেখানে বন্দুকধারীরা রাস্তায় অথবা তাদের দরজায় বেসামরিক নাগরিকদের, যাদের বেশিরভাগই পুরুষ, হত্যা করেছে। ঘরবাড়ি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ নিকটবর্তী পাহাড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলির মধ্যে একটি, বানিয়াস, বেশ কয়েকটি নৃশংস হামলার সাক্ষী হয়েছে।
 
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মৃতদেহ এবং ছাদে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়েছেন। কিছু ক্ষেত্রে, বন্দুকধারীরা স্থানীয়দের তাদের প্রতিবেশীদের মৃতদেহ সংগ্রহ করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাধা দিয়েছিল।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলা সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন সময়সূচি আগামী ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি এখন সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরীক্ষামূলকভাবে এ ট্রেন চলাচল করবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।

আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টায়। এখন এ ট্রেন ছাড়ে ১০টা ২০ মিনিটে। গত মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান।

রেলওয়ের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে এখন দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে আরও দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন।

কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। এটাও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।

গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ট্রেন। এরপর ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের কথা বলে গত বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে রেলওয়ে। গত বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন। আর নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।

সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রী ওঠানামার জন্য ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামবে।

আর প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ