Risingbd:
2025-06-15@14:14:17 GMT

কারা এই আলাউই?

Published: 9th, March 2025 GMT

কারা এই আলাউই?

সিরিয়ার নতুন শাসক আল–শারার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের আলাউই সম্প্রদায়ের যোদ্ধাদের সংঘর্ষে হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। হঠাৎ করেই গত সপ্তাহে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। কারা এই আলাউই সম্প্রদায়, তাদের ওপর নতুন সরকারের এতো ক্ষোভই বা কেন?

সিরিয়ার আলাউইরা একটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১২ শতাংশ তারা। শিয়া ইসলাম থেকে উদ্ভূত, তাদের স্বতন্ত্র বিশ্বাস এবং আচার-অনুষ্ঠান রয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে, আলাউইরা সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে, বিশেষ করে লাতাকিয়া এবং তারতুস প্রদেশে কেন্দ্রীভূত।

২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়া শাসনকারী আসাদ পরিবার আলাউই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। তাদের শাসনামলে আলাউইরা সামরিক বাহিনী এবং সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিল। 

আসাদ পরিবারের অনুগত সশস্ত্র যোদ্ধারা সম্প্রতি দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। এতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার আসাদের অনুগত সশস্ত্র ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। একইসময় সশস্ত্র সুন্নি গোষ্ঠীগুলো আলাউইদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড শুরু করে। এ ঘটনা সিরিয়ার সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে আরো গভীর করে তোলে। এই উত্তেজনা বৃদ্ধি আসাদকে ক্ষমতা থেকে অপসারণে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালনকারী হায়াত তাহরির আল-শামের কর্তৃত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আলাউই গ্রামগুলোতে ভয়াবহ দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছেন, যেখানে বন্দুকধারীরা রাস্তায় অথবা তাদের দরজায় বেসামরিক নাগরিকদের, যাদের বেশিরভাগই পুরুষ, হত্যা করেছে। ঘরবাড়ি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ নিকটবর্তী পাহাড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলির মধ্যে একটি, বানিয়াস, বেশ কয়েকটি নৃশংস হামলার সাক্ষী হয়েছে।
 
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মৃতদেহ এবং ছাদে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়েছেন। কিছু ক্ষেত্রে, বন্দুকধারীরা স্থানীয়দের তাদের প্রতিবেশীদের মৃতদেহ সংগ্রহ করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাধা দিয়েছিল।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানের ৭২০ সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করার দাবি ইসরায়েলের

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তেহরানে অন্তত ৮০টি লক্ষ্যবস্তুতে রাতভর হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় ডজনখানেক ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে টানা তৃতীয় দিনে এ হামলা চালানো হলো। খবর বিবিসির

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের হামলার লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে ছিল ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর, সামরিক গবেষণা ও উন্নয়ন শাখা বলে দাবি করা হয়েছে।

রয়টার্স এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ছিল দুটি ‘দ্বৈত-ব্যবহারের’ জ্বালানি কেন্দ্র। ওই জ্বালানি কেন্দ্র সামরিক ও পারমাণবিক কাজে ব্যবহার করা হতো।

আইডিএফ আরও জানিয়েছে, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর অংশ হিসেবে তিন দিনের কম সময়ের মধ্যে তারা ইরানের ১৭০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। ইরানের ৭২০টির মতো সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ