তেঁতুলিয়ায় আবারও টিউবওয়েলের পানিতে চেতনানাশক মেশানো পানি পান করিয়ে ১০ লাখ টাকা ও একটি ফোন চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চুরির শিকার পরিবারের দুই সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

আজ সোমবার ভোর রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলার ২ নং তিরনইহাট ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামে ছাগল ব্যবসায়ী শমসের আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

পরিবার সূত্র জানিয়েছে, শমসের আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা ইফতারের ঘণ্টা খানেক পর অস্বস্তিবোধ করলে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে ভোরে সেহেরি খাওয়ার জন্য পাশের বাড়ি বধূ ডাকতে এসে দেখেন এক ঘরে তালা দেওয়া এবং অন্য ঘরে গামছা দিয়ে দরজা বাঁধা। দরজা খুলে দিলে তারা চুরির বিষয়টি টের পান।

ভুক্তভোগী শমসের আলীর স্ত্রী জানান, সেহেরিতে রান্না করার জন্য বৌমা ডাকলে আমরা চেতন হই। পরে দেখি বাহির পাশে দুটি দরজা আটকানো। বাহির থেকে খুলে দিলে চুরির সন্দেহ হয়। পরে খাটের ভেতরের বস্তায় রাখা ১০ লাখ টাকা এবং আমার ছেলের একটি স্মার্টফোন নিয়ে যায়।

তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত কবির বলেন, টিউবওয়েলের পানিতে চেতনানাশক মিশিয়ে টাকা ও মোবাইল নিয়ে যায়। এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে

একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।

এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।

আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫

প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।

সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ