বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সোমবার কেন্দ্রীয় চুক্তিভূক্ত ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ করেছে। চলতি মার্চ থেকে তালিকা অনুযায়ী, বিসিবি থেকে বেতন-ভাতা পাবেন ক্রিকেটাররা।

বিসিবির কেন্দ্রীয় তালিকায় ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে আছেন কেবল ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ। তিনি মাসে বোর্ড থেকে দশ লাখ টাকা বেতন পাবেন। 

‘এ’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে জাতীয় দলের তিন সিনিয়র ক্রিকেটারকে। তারা হলেন- অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী মিরাজ ও লিটন দাস। তারা ৮ লাখ টাকা করে মাসে বেতন পাবেন। 

কেন্দ্রীয় চুক্তিতে শান্তদের মতো ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ায় তাকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। ওই ক্যাটাগরিতে আছেন মোট ৭ জন। তারা হলেন- মুশফিকুর রহিম, মমিুনুল হক, তাইজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, তাওহীদ হৃদয়, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। ৬ লাখ টাকা করে বেতন পাবেন। 

বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির ২২ জনের তালিকায় নাম আছে ৩৯ বছর বয়সী ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। কিন্তু বিসিবিকে তিনি অনুরোধ করেছেন, কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তার নাম না রাখার জন্য। যে কারণে মার্চ থেকে কেন্দ্রীয় চুক্তিভুক্ত হবেন না তিনি। ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত হিসেবে বেতন পাবেন ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

কেন্দ্রীয় চুক্তির ‘সি’ ক্যাটাগরিতে আছেন ৮ ক্রিকেটার। তারা হলেন- সাদমান ইসলাম, সৌম্য সরকার, জাকের আলী, তানজিদ তামিম, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তানজিম সাকিব, শেখ মাহেদী। তারা ৪ লাখ টাকা বেতনের ক্যাটাগরিতে আছেন। ‘ডি’ গ্রুপে থাকা দুই ক্রিকেটার হলেন পেসার খালেদ আহমেদ ও স্পিনার নাসুম আহমেদ। তারা ২ লাখ টাকা বেতন পাবেন। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ