ডিপসিকের পর এবার আলোচনায় চীনে তৈরি নতুন এআই এজেন্ট
Published: 11th, March 2025 GMT
চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডিপসিকের তৈরি ‘ডিপসিক এআই’ মডেল গত জানুয়ারি মাসে উন্মুক্তের পরপরই বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছে। এবার চীনে তৈরি নতুন এআই এজেন্ট ‘মানুস’ নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সম্প্রতি মনিকা নামের একটি স্টার্টআপ পরীক্ষামূলকভাবে এআই এজেন্টটি উন্মুক্ত করেছে। এআই এজেন্টটি স্বাধীনভাবে চিন্তা ও সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হওয়ায় এরই মধ্যে প্রযুক্তিবিশ্বে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এর ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দুনিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যকে হুমকির মুখে ফেলছে চীন।
জানা গেছে, মানুস নামের এআই এজেন্টটি বাস্তব যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম। শুধু তা–ই নয়, এআই এজেন্টটি কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কাজ করার পাশাপাশি সহজেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজের ধরন অনুযায়ী ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব। এরই মধ্যে অনলাইনে এআই এজেন্টটির একাধিক ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশের পরপরই ভিডিওগুলো প্রযুক্তিপ্রেমীদের কাজে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের দাবি, মানুস বিশ্বের প্রথম স্বয়ংসম্পূর্ণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এজেন্ট। কারণ, এটি বিভিন্ন বিষয়ে স্বাধীনভাবে চিন্তা ও পরিকল্পনা করতে পারে। পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ ফলাফলও সরবরাহ করে থাকে। ফলে এআই এজন্টটির মাধ্যমে সহজেই ভ্রমণের পরিকল্পনা প্রণয়ন, শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ, শিক্ষকদের জন্য ইন্টারঅ্যাকটিভ শিক্ষাক্রম তৈরি এবং বিভিন্ন বিমা নীতির তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা সম্ভব।
ম্যানাস এআই এজেন্টের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মনিকা জানিয়েছে, মানুস এআই এজেন্ট বিভিন্ন জটিল কাজ করতে পারে। ব্যবহারকারীর পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী নিজেকে ক্রমাগত উন্নত করতে সক্ষম এআই এজেন্টটি এরই মধ্যে জিআইএআইএ বেঞ্চমার্কে ওপেনএআইয়ের ডিপরিসার্চের তুলনায় ভালো ফলাফল প্রদর্শন করেছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।