গতকাল সোমবার ঢাকার শেয়ারবাজারে মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ। গতকাল এই কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৩৬ টাকা ৩০ পয়সা ও সর্বনিম্ন দাম ছিল ৩৩ টাকা ১০ পয়সা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটের তথ্যে দেখা যায়, গতকাল মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল সমতা লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেড। এই কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৪৭ টাকা ৫০ পয়সা ও সর্বনিম্ন দাম ছিল ৪৬ টাকা ৯০ পয়সা।

মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড। এই কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এই কোম্পানির শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ২০ টাকা ও সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৭ টাকা ৮০ পয়সা। পতিত শেখ হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এস আলম গোষ্ঠীর মালিকানাধীন এই কোম্পানির শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ডিএসই সম্প্রতি জানতে চেয়েছিল। জবাবে কোম্পানিটি জানায়, মূল্যবৃদ্ধির পেছনে অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্যের ভূমিকা নেই।

মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিল প্রাইম লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। এই কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ২১ শতাংশ। এই কোম্পানির শেয়ারের সর্বোচ্চ দর ছিল ৩৯ টাকা ৩০ পয়সা ও সর্বনিম্ন দর ছিল ৩৫ টাকা ৩০ পয়সা। পঞ্চম স্থানে ছিল তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এই কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ।

এ ছাড়া তালিকার ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম স্থানে আছে যথাক্রমে নর্দার্ন ইনস্যুরেন্স, ওরিয়ন ইনফিউসন লিমিটেড, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, শাইন পুকুর সিরামিকস লিমিটেড ও এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এই ক ম প ন র শ য় র র দ ম ব ড় ছ দশম ক গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

নেতানিয়াহু অঞ্চলজুড়ে আগুন লাগাতে চাইছেন: ইরানের প্রেসিডেন্টকে এরদোয়ান

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু ইরানে হামলা চালিয়ে পারমাণবিক আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। গতকাল শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে এরদোয়ান এ কথাগুলো বলেছেন।

এরদোয়ানের দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় হওয়া জাতিগত হত্যার ঘটনা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি সরাতে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইরানি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও সৌদি আরব, পাকিস্তান, জর্ডান ও মিসরের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এরদোয়ান। ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।

শনিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলই এখন এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তুরস্ক সরকারের যোগাযোগবিষয়ক দপ্তরের বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দপ্তরের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, এরদোয়ান মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সিসিকে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের হামলা গভীরভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করেছে। আইনের তোয়াক্কা না করার যে মনোভাব নেতানিয়াহুর মধ্যে দেখা গেছে তা বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির।

এরদোয়ান আরও সতর্ক করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ