রাজধানীর লালমাটিয়ায় চায়ের দোকানে ধূমপান করাকে কেন্দ্র করে দুই তরুণীকে হেনস্তা ও মব উসকে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার গোলাম মোস্তাকিম ওরফে রিংকুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে শুনানি শেষে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আজ রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকা থেকে গোলাম মোস্তাকিমকে (৬২) গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি একজন পাথর ব্যবসায়ী।

মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, মোস্তাকিমকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে তাঁকে আদালত কারাগারে পাঠান। নারী হেনস্তার ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা রুজু হওয়ার পর মোস্তাকিমকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। পাশাপাশি সেদিনের ঘটনা তদন্ত করছে পুলিশ।

১ মার্চ লালমাটিয়ায় দুই তরুণীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনাটি ঘটে। এক ব্যক্তি ধূমপান নিয়ে আপত্তি তোলেন, যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হন। একপর্যায়ে রিংকু নামের ব্যক্তি তরুণীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেন।

শ্যামলীতে নারী সহিংসতায় গ্রেপ্তার

এদিকে রাজধানীর শ্যামলী স্কয়ার এলাকায় এক নারীকে হেনস্তার অভিযোগে গ্রেপ্তার মো.

রাসেল হোসেনকে আজ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার বলেন, নারীদের হেনস্তার ঘটনায় রাসেলকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা রুজু হলে সেই মামলায় রাসেলকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

উপকমিশনার তালেবুর রহমান আরও বলেন, গত ২৯ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক শ্যামলীর রাস্তায় কিছু নারীর সঙ্গে বাজে আচরণ করছিলেন। তিনি লাঠি দিয়ে তাঁদের শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন। সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি ডিএমপির দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর রাসেল নামের ওই যুবককে শনাক্ত করে।

আরও পড়ুনলালমাটিয়ায় দুই তরুণীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে রিংকুকে হেফাজতে নিল পুলিশ১০ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ