পাওনা টাকা নিয়ে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৪
Published: 12th, March 2025 GMT
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর একজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
বুধবার (১২ মার্চ) সকালে উপজেলার বারইপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। শৈলকুপা থানার ওসি মাছুম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রারইপাড়া গ্রামের মন্টু মোল্লা একই গ্রামের লিখন হোসেনের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা পেতেন। গতকাল রাতে সেই টাকা চাওয়া নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে আজ সকালে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে অন্তত ১৪ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে স্বপন বিশ্বাস নামে একজনকে ফরিদপুর মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
সুনামগঞ্জে সংঘর্ষ চলাকালে মৃত্যু, গুজব বলছে পুলিশ
গৌরনদীতে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৯
শৈলকুপা থানার ওসি মাছুম খান বলেন, “এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। পুলিশ কাউকে আটক করেনি।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বেলা পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইসরাফিল (৪০)। তাঁর বাড়ি উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে জাঙ্গালিয়া গ্রামে তিনটি মুঠোফোন ও নগদ ১ হাজার ৬০০ টাকা চুরি হয়। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এলাকাবাসী ইসরাফিলকে নিজ বাড়ি থেকে ধরে এনে মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ইসরাফিলের পরিবারের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়েক দিন আগে পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের ইমরুল নামের এক ব্যক্তির মুঠোফোন চুরি হয়। সে সময় থেকেই ইসরাফিলকে সন্দেহ করা হচ্ছিল। আজ এলাকায় আরও একটি চুরির ঘটনা ঘটলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে এনে পিটিয়ে হত্যা করেন।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহমান বলেন, একরামুল নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তিনটি মুঠোফোন ও টাকা চুরি হয়। ওই ঘটনায় ইসরাফিলকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় লোকজন পিটুনি দেন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আগে কয়েকটি চুরির অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে কোনো মামলা নেই। এ ঘটনায় তাঁর পরিবার থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।