ওটিটি কিংবা রূপালি পর্দা, সবখানে খল অভিনেতা হিসেবে তাঁর বিচরণ। নির্মাতাদের কাছে দিনকে দিন আরও আস্থার পাত্র হয়ে উঠছেন তিনি। গেলো কয়েক বছরে তার প্রমাণও দিয়েছেন। বলছি, অভিনেতা রাশেদ মামুন অপুর কথা। নিজের অভিনয় করা ১২টি সিনেমা প্রস্তুত থাকলেনও আগামী ঈদে আসছে তার অভিনীত তিনটি সিনেমা।

রাশেদ জানান, মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তাঁর অভিনীত এক ডজনের মতো সিনেমা। ‘দাগি’, ‘জংলী’, ‘জলরঙ’, ‘আতরবিবিলেন’, ‘দ্য রাইটার’, ‘চাদর’, ‘দ্য গেইম’, ‘নর সুন্দরী’সহ ১২টি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায়। এর মধ্যে বেশিরভাগ সিনেমায় তাঁকে দেখা যাবে খল চরিত্রে।

রাশেদ মামুন অপু সমকালকে বলেন, ‘বর্তমানে হাতে ১২টি সিনেমা রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ সিনেমা সেন্সর পেয়েছে। আবার সেন্সরে জমা দেওয়ার অপেক্ষায় আছে কয়েকটি। এখন পর্যন্ত যেটা জেনেছি, আগামী ঈদে আমার অভিনয় করা ‘দাগি’, ‘জংলি’ ও ‘আতরবিবিলেন’ সিনেমা মুক্তি পাবে। এছাড়া প্রযোজক চাইলে আরও দুই-একটি বাড়তে পারে। আশাকরি দর্শকরা আমাকে এবারও ভিন্নভাবে পর্দায় দেখতে পাবে।

এই অভিনেতার কথায়, “আসন্ন ঈদে যে তিনটি সিনেমা আসছে সবগুলোতেই নেতিবাচক চরিত্রে হাজির হচ্ছি। এর মধ্যে ‘দাগি’ সিনেমায় আফরান নিশোর বিপরীতে দর্শক আমাকে দুই ধরণের চরিত্রে দেখতে পাবে। দুটো চরিত্রের মধ্যেই নির্মাতা টুইস্ট রেখেছেন। এছাড়া ‘জংলি’ সিনেমায় দারুণ একটি চরিত্র। আর ‘আতরবিবিলেন’ সিনেমায় আমাকে মানুষরূপী এক জানোয়ারের চরিত্রে পাওয়া যাবে।”

মামুন বলেন, “সিনেমা-ওয়েব সবই আমাকে টানে। তবে সিনেমার খল অভিনেতা হিসেবে দর্শক আমাকে বেশি চেনে। যদিও খল চরিত্রে মাত্র তিন বছরের জার্নি চলছে। এটার জন্য নির্মাতারা আমাকে বেশি ডাকেন। খল চরিত্রগুলো উপভোগ করি। এখানে অভিনয়ের বৈচিত্র্য বেশি।”

দেশে সিনেমা হল কম হলেও ঈদের সময় সিনেমা মুক্তির হিড়িক লাগে। ফলে অনেক সিনেমাই ক্ষতির মধ্যে পড়ে বলে অভিযোগ করেন অনেকেই। তবে এখানে ক্ষতির কিছু দেখন না রাশেদ মামুন।

তার কথায়, ‘আমাদের সিনেমা এখন ঈদ কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। ফলে ঈদে সিনেমা মুক্তি দিতে চান নির্মাতা-প্রযোজকরা। কয়েক বছরে আমাদের এখানে যতগুলো সিনেমা ভালো ব্যবসা করেছে সেগুলো কিন্তু ঈদের সিনেমা। করোনার পর যদি ধরা হয় তাহলে ‘পরান’, ‘হওয়া’, ‘প্রিয়তমা’, ‘রাজকুমার’, ‘সুড়ঙ্গ’, ‘তুফান’ তো ঈদেরই সিনেমা। অনেক সিনেমার মধ্যে থেকে তো ভালো সিনেমা বেরিয়ে এসেছে। এখানে ক্ষতির কিছু নেই। সিনেমা উৎসবে কেন্দ্রিক হওয়ায় ছবিগুলো আলাদা একটা মাইলেজ পায়।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ থেকে ৩১ জুলাই) পর্যন্ত সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ।

শনিবার (২ আগস্ট) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০.৩১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৫১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.২০ পয়েন্ট বা ১.৯৪ শতাংশ।

এর আগের সপ্তাহের (২৪ থেকে ২৮ জুলাই) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৭১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৩১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.৬০ পয়েন্ট বা ৬.১৮ শতাংশ।

খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৬.১০ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৭.১৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ৯.৮৯ পয়েন্ট, টেক্সটাইল খাতে ১০.৭০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১.০৮ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১১.৩৫ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১২.৬০ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৭৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৪.১০ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৪.৯৪ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৬.৩১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৬.৬৫ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৭.৯৬ পয়েন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ১৮.৪৩ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২১.৮১ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ২১.৯৩ পয়েন্টে, পাট খাতে ২৬.১৯ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ২৬.৭৭ পয়েন্টে,   এবং সিরামিক খাতে ৫৭.৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ