‘পেইন-কিলার’ মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে শুভকামনা হৃদয়ের
Published: 12th, March 2025 GMT
কেউ লিখেছেন ‘লিজেন্ড’, কেউ লিখেছেন ‘মিস করব’। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়া মাহমুদউল্লাহকে তার অবদানের জন্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানিয়েছেন জাতীয় দলের বর্তমান ও সাবেক সতীর্থদের অনেকেই। জাতীয় দলে মাহমুদউল্লাহকে সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে পাওয়া তাওহিদ হৃদয়ও জানিয়েছেন শুভকামনা।
আর হৃদয়ের সেই শুভকামনা-বার্তায় উঠে এসেছে ‘পেইন কিলার’ প্রসঙ্গ। ২০২৩ সালে জাতীয় দলে পা রাখা হৃদয় আজ মাহমুদউল্লাহর অবসর ঘোষণার পর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘ছোটবেলায় টিভির সামনে বসে দেখা প্রত্যেকটা ব্রিলিয়ান্ট মুহূর্তের জন্য ধন্যবাদ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাই। সবাই আপনাকে সাইলেন্ট কিলার ডাকলেও, আমাদের বন্ধুমহলে আপনার নাম ছিল ‘‘পেইন-কিলার’’। এমন অনেক ম্যাচ আছে যেগুলোর শেষ মুহূর্তের রিলিফ আপনার থেকে উপহার পেয়েছি।’
হৃদয়ের কথায় স্পষ্ট, ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ দলকে সংগ্রাম করতে দেখাটা দর্শক হিসেবে হৃদয়ের জন্য ছিল ‘পেইন’, যেখানে থেকে দলকে উদ্ধার করে স্বস্তি এনে দিতেন মাহমুদউল্লাহ। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ছোট ছোট ইনিংস খেলে দলকে বিপদ থেকে বাঁচিয়েও ব্যাপকভাবে আলোচিত না হওয়ায় মাহমুদউল্লাহকে অনেকে ‘সাইলেন্ট কিলার’ নামে ডাকতেন। তবে হৃদয়ের সংজ্ঞায় ‘সাইলেন্ট কিলার’ মাহমুদউল্লাহ আসলে ‘পেইন-কিলার’।
তবে ‘পেইন-কিলার’ শব্দটি এত দিন মাহমুদউল্লাহর সমালোচনাতেই বেশি ব্যবহৃত হয়েছে বলে অনেকে এর মধ্যে মজা খুঁজে পাচ্ছেন। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে স্কটল্যান্ডের কাছে হারের পর তুমুল সমালোচিত ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল, কড়া প্রতিক্রিয়া শুনিয়েছিলেন তৎকালীন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানও।
এরপর পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে বাংলাদেশ দল চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করলে সংবাদ সম্মেলনে এসে জমিয়ে রাখা ক্ষোভ উগরে দেন মাহমুদউল্লাহ। তখন টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা মাহমুদউল্লাহ সে দিন বলেছিলেন, ‘সবারই ব্যথা থাকে, কারও অনেক ইনজুরি থাকে ওইগুলা নিয়েই আমরা খেলি। দিনের পর দিন পেইন কিলার খেয়েই আমরা খেলি। হয়তো বিহাইন্ড দা সিন অনেকে এইগুলা জানে না। কাজেই নিবেদন নিয়ে কথা বলা ঠিক না।’
আজ মাহমুদউল্লাহর অবসরের পর সেই ‘পেইন-কিলার’ই ভিন্ন অর্থে ফিরিয়ে এনেছেন হৃদয়। শেষে লিখেছেন, ‘আমার দোয়ায় থাকবেন আপনি, যেমনটি সব সময় ছিলেন, অবসরজীবনের জন্য শুভকামনা।’
মাহমুদউল্লাহর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণার পর তাঁর জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন আরও অনেকেই। দীর্ঘদিনের সতীর্থ তামিম ইকবাল লিখেছেন, ‘রিয়াদ ভাই, বর্ণাঢ্য আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার সম্পূর্ণ করার জন্য অভিনন্দন। আপনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম স্তম্ভ এবং মাঠে এবং মাঠের বাইরে আমাদের অনেকের অনুপ্রেরণা। ড্রেসিংরুমে আমাদের ভাগাভাগি করা স্মৃতিগুলো লালন করব। দেশের ক্রিকেটে আপনার অবদানের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং আগামী দিনগুলির জন্য শুভকামনা.
বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন লিখেছেন, ‘বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশ ক্রিকেটে অবদানের জন্য রিয়াদ ভাই আপনাকে ধন্যবাদ। ড্রেসিংরুমে আপনাকে অবশ্যই মিস করব এবং মাঠে ও মাঠের বাইরে আপনার কর্মকাণ্ড থেকে অনুপ্রেরণা নেব। আপনি আমাদের অনেককে অনুপ্রাণিত করেছেন এবং অনেক দিন ধরে তা করে যাবেন...। আপনার ভবিষ্যতের প্রচেষ্টার জন্য শুভকামনা...।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ইন ক ল র র জন য ন র জন আম দ র আপন র আপন ক
এছাড়াও পড়ুন:
ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে শিক্ষক ও অফিস সহায়ককে বিদায়
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে স্কুল শিক্ষক ও অফিস সহায়ককে বিদায় জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সিনিয়র শিক্ষক আজিবর রহমান ও অফিস সহায়ক মশিয়ার রহমানকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়।
বিদায় সংবর্ধনা উপলক্ষে বিদ্যালয়ের হলরুমে স্মৃতিচারণামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. দেদারুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন আলম, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা, সিনিয়র শিক্ষক রুহুল আমিন প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৩৬ দিনেও স্কুলছাত্রী উদ্ধার হয়নি
স্কুল ভবনে ক্লাস চলাকালে বিধ্বস্ত হয় প্রশিক্ষণ বিমান
আয়োজকরা জানান, দীর্ঘদিন শিক্ষক আজিবর রহমান ও অফিস সহায়ক মশিয়ার রহমান এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। সম্প্রতি তারা অবসরে গেছেন। তাদের বিদায় সংবর্ধনা স্মরণীয় করে রাখতে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বিদায় জানানো হয়েছে। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষক আজিবর রহমান বলেন, ‘‘দীর্ঘ ২১ বছর এই বিদ্যালয়ে চাকরি করেছি। চলার পথে কোনো ভুল-ত্রুটি হলে সবাই ক্ষমা করবেন। চাকরি জীবন শেষে এমন সংবর্ধনা পাব কল্পনাও করিনি। এ জন্য আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’’ এ সময় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা বলেন, ‘‘চাকরি জীবনে সবাইকেই অবসর নিতে হবে। আজ আমরা ইংরেজি শিক্ষক আজিবর রহমান ও অফিস সহায়ক মশিয়ার রহমানকে বিদায় জানিয়েছি। এটা কষ্টের হলেও সবাইকে মেনে নিতে হবে। বিদায়ের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে তাদের দুজনকে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বিদায় জানানো হয়েছে।’’
ঢাকা/সোহাগ/রাজীব