নারী-শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতন, নারীবিদ্বেষী উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং চুরি, ডাকাতি ও মব সন্ত্রাস বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছে তারা।

গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়। জোটের সমন্বয়ক ইকবাল কবির জাহিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশীদ ফিরোজ, মাসুদ রানা, মোশরেফা মিশু, আব্দুল আলী প্রমুখ।

নেতারা বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। সরকার এসব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে তো পারছেই না, বরং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মিছিলে পুলিশ বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। মধ্যরাতে একদল মব সিপিবি নেতা লাকী আক্তারের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মিছিল করেছে। কেননা, লাকী আক্তার ধর্ষণের বিরুদ্ধে মশাল মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন।

নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, লাকীসহ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনকারী জনতাকে যারা হত্যার হুমকি দিচ্ছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচার করুন। অন্যথায় যে কোনো পরিস্থিতির দায় প্রশাসন এড়াতে পারবে না।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ