নারী-শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতন, নারীবিদ্বেষী উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং চুরি, ডাকাতি ও মব সন্ত্রাস বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছে তারা।

গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়। জোটের সমন্বয়ক ইকবাল কবির জাহিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশীদ ফিরোজ, মাসুদ রানা, মোশরেফা মিশু, আব্দুল আলী প্রমুখ।

নেতারা বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। সরকার এসব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে তো পারছেই না, বরং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মিছিলে পুলিশ বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। মধ্যরাতে একদল মব সিপিবি নেতা লাকী আক্তারের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মিছিল করেছে। কেননা, লাকী আক্তার ধর্ষণের বিরুদ্ধে মশাল মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন।

নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, লাকীসহ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনকারী জনতাকে যারা হত্যার হুমকি দিচ্ছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচার করুন। অন্যথায় যে কোনো পরিস্থিতির দায় প্রশাসন এড়াতে পারবে না।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ

বাংলায় কথা বললেই পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ ও দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার। আজ সোমবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে সীমান্ত সুরক্ষা ও পুশ ব্যাক বিষয়ে বিধায়কদের আনা প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বাসিন্দা মেহবুব শেখকে (৩৬) ঠেলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে বিএসএফের উত্তরবঙ্গের শাখা। ওই ব্যক্তি মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গত ১১ জুন তাকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। 

মেহবুবের ভাই মুজিবুর রহমান জানান, তার বড় ভাইকে গত শুক্রবার ভোর রাতে শিলিগুড়ির বিএসএফ বাংলাদেশে ‘পুশ ব্যাক’ করেছে। তিনি আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্যদের সভাপতি সামিরুল ইসলাম ওই শ্রমিকের দুর্দশার বিষয়টি জানার পর মহারাষ্ট্র পুলিশের যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্র পাঠান। তার মধ্যে মেহবুবের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত বিবরণ ও পঞ্চায়েতের সার্টিফিকেট রয়েছে। তবে মহারাষ্ট্র পুলিশ ওই সব নথিপত্রকে গুরুত্ব দেয়নি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পক্ষেও মহারাষ্ট্র পুলিশকে মেহবুবের ভারতীয় নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল ঠাণেতে। তাতেও কাজ হয়নি।

মেহবুবের ভাই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা মুম্বাইয়ের ঠাণেতে গেলে মহারাষ্ট্র পুলিশ বলেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে আটক মেহবুবসহ আরও কয়েকজনকে তারা শিলগুড়িতে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। শিলিগুড়ির বিএসএফের ইউনিটে তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে তারা জানতে পারেন, গত শুক্রবার ভোরে মেহবুবসহ আটক সবাইকে ‘পুশ ব্যাক’ করা হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে বিএসএফ এবং মহারাষ্ট্র পুলিশ এই বিষয়ে কিছু জানায়নি। গত এক দেড় মাস ধরে বিএসএফের পুশ ব্যাক চললেও এই বাহিনী সরকারিভাবে কিছু জানাচ্ছে না। অন্যদিকে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছে, বিএসএফ এমন অনেককে ঠেলে পাঠাচ্ছে যাদের কাছে ভারতীয় হিসেবে নথিপত্র আছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ