বিডিএসএফের নতুন সভাপতি তাসনীম আহমেদ, সম্পাদক মাহমুদুল হাসান
Published: 14th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ স্টাডি ফোরামের (বিডিএসএফ) নির্বাহী পর্ষদের নতুন সভাপতি হয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক শিক্ষার্থী তাসনীম আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগের ঢাকা ক্লাবে বার্ষিক ইফতার মাহফিল ও আলোচনাসভা শেষে বার্ষিক সাধারণ সভায় নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিডিএসএফ উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাংগীর আলম চৌধুরী, সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাবিদিন ইব্রাহিম, সাইমুম রেজা তালুকদার পিয়াস, আলাউদ্দীন মোহাম্মদ ও স্থায়ী পরিষদের আবু বকর সিদ্দিক, আরিফ রহমান, কাইয়ুম আহমেদ, ইব্রাহিম হোসেন প্রমুখ।
বিডিএসএফের স্থায়ী পর্ষদ (স্ট্যান্ডিং কমিটি) ও উপদেষ্টা পরিষদ (অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল) ২০২৫-২০২৬ মেয়াদের জন্য নতুন নির্বাহী পর্ষদ (এক্সিকিউটিভ কমিটি) অনুমোদন করে। এতে সহ-সভাপতি হয়েছেন সাফকাত আলম আঁখি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানজিদা সেঁজুতি, মুখপাত্র সুস্মিতা হোসেন স্বর্ণালী, কোষাধ্যক্ষ সাদিয়া ইসলাম তৃষা, কর্মসূচি সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, অনুষ্ঠান সম্পাদক মাহমুদ হাবিব। সাইখন হাসান ও বাপ্পী আহমেদ অর্গানাইজেশনাল সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করবেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী এক বছরের জন্য বিডিএসএফের নির্বাহী পর্ষদের এ কমিটি অনুমোদন করা হলো। প্রয়োজন সাপেক্ষে ছয় মাস পর রদবদল করা হতে পারে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ