মাগুরায় শিশু আছিয়াকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে কফিন মিছিল ও গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বাদ জুমআ শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রথমে গায়েবানা জানাজা আদায় করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। পরে তারা শহরে বের করেন কফিন মিছিল।

এ সময় তারা ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। মিছিলটি কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে টাউন হল এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

আরো পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে পৃথক স্থানে দুই শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২

ধর্ষণের বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, রবিবারের মধ্যে সংশোধিত অধ্যাদেশ

সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হবিগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক আরিফ তালুকদার, সদস্য সচিব মাহদী হাসান, মুখ্য সংগঠক আশরাফুল ইসলাম সুজন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, মাগুরার আছিয়াসহ সারা দেশে ধর্ষণের যে বর্বরতা চলছে তা কোনভাবেই কাম্য নয়। আছিয়াকে যারা ধর্ষণ করেছে সেইসব ধর্ষক ও হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। 

হবিগঞ্জ/মামুন/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ