নাটোরের সিংড়া উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) এক প্রকৌশলী কাছ থেকে ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা জব্দ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে উপজেলার নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সদরের চলনবিল গেট এলাকায় তল্লাশির সময় একটি প্রাইভেট কার থেকে এসব টাকা জব্দ করা হয়।

ওই প্রকৌশলীর নাম ছাবিউল ইসলাম। তিনি গাইবান্ধার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, থানা-পুলিশ ও সেনাসদস্যরা যৌথভাবে গতকাল রাতে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের যানবাহন তল্লাশি করছিলেন। রাত ২টার দিকে বগুড়া থেকে নাটোর অভিমুখে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে তল্লাশির সময় গাড়ির পেছনের ডালায় বিপুল পরিমাণ টাকা দেখতে পান। এ সময় গাড়িতে থাকা আরোহী ছাবিউল ইসলাম নিজেকে গাইবান্ধা জেলার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী পরিচয় দেন। তখন ওই ব্যক্তিকে ও তাঁর গাড়ির চালকসহ সিংড়া থানায় নিয়ে যান। এর আগে ঘটনাটি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়। পরে ইউএনও ও সেনাসদস্যদের উপস্থিতিতে পুলিশ টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে ছাবিউল ইসলাম জানান, গাড়িতে ৩০ লাখ টাকা আছে। এসব টাকা তাঁর জমি বিক্রির টাকা। তবে টাকাগুলো গুনে দেখা যায়, গাড়িতে ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা রয়েছে। এত টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে না পাঠিয়ে রাতের আঁধারে গাড়িতে করে কেন নেওয়া হচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি। পরে জব্দ তালিকা মূলে টাকা ও গাড়ি থানা হেফাজতে রাখা হয়। এ সময় আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছাবিউল ইসলাম ও তাঁর চালককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

ছাবিউল পুলিশকে জানিয়েছেন, জব্দ করা এসব অর্থ তাঁর জমি বিক্রি করা টাকা। তিনি টাকাগুলো গাইবান্ধা থেকে নিয়ে সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে রাজশাহীতে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক জানান, জব্দ করা অর্থের উৎস ও ওই প্রকৌশলী সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য টাকা, প্রাইভেট কার ও এর বাহককে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ