Samakal:
2025-11-03@15:41:46 GMT

অপার্থিবের ‘আবছা নীল কণা’

Published: 14th, March 2025 GMT

অপার্থিবের ‘আবছা নীল কণা’

সিম্ফোনিক মেটাল ব্যান্ড অপার্থিব প্রকাশ করতে যাচ্ছে তাদের প্রথম অ্যালবাম ‘আবছা নীল কণা’। শিগগিরই একযোগে প্রধান সব ডিজিটাল স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে অ্যালবামটি প্রকাশ করা হবে বলে অপার্থিব সদস্যরা জানান। আরও জানান, অর্কেস্ট্রা ও পাওয়ার মেটাল রিদমের মিশ্রণের সাতটি গান দিয়ে ‘আবছা নীল কণা’ অ্যালবামটি সাজানো হয়েছে। সম্প্রতি শেষ হয়েছে ‘আবছা নীল কণা’-এর মিউজিক ভিডিওর শুটিং। চলছে পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ।

ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী ও গিটারিস্ট সালেহীন বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত এই অ্যালবামের ৫টি ট্র্যাক প্রকাশ করেছি। আমাদের সংগীতের প্রতি আন্তর্জাতিক ও দেশীয় শ্রোতাদের অফুরন্ত ভালোবাসা এবং আবেগ আমাদের গভীরভাবে স্পর্শ করে। প্রথম অ্যালবামের কাজের ক্ষেত্রে শ্রোতাদের সমর্থন এবং ভালোবাসা ছিল আমাদের জন্য বিরাট অনুপ্রেরণা। আমরা বিশ্বাস করি, সংগীত হচ্ছে অন্যতম একটি মাধ্যম, যা আমাদের বারবার দেশের মানুষের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।’ 

অপার্থিব প্রথম মঞ্চে ওঠে ২০০৯ সালে। তখন ব্যান্ডের সবাই ছিলেন কার্লটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বর্তমানে, ব্যান্ডের পাঁচ সদস্য সৈয়দ আদনান আলী কিরন [ড্রামার], সালেহীন চৌধুরী উচ্ছাস [কণ্ঠশিল্পী ও গিটারিস্ট], আসফিন হায়দার দিশা [কণ্ঠশিল্পী], আদিয়ান ফয়সাল পূর্ণা [কি-বোর্ডিস্ট] ও সৈয়দ আহসান আলী কিরন [বেজ গিটারিস্ট] কানাডার অটোয়াতে বসবাস করছেন। সেখানেই ধারাবাহিকভাবে সংগীত নিরীক্ষা ও নতুন গানের সব আয়োজন করে যাচ্ছেন তারা। ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে যাওয়ার সুবাদে এরই মধ্যে অপার্থিব স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের পরিচিতি গড়ে নিতে পেরেছে। তাদের লক্ষ্য, বিশ্বব্যাপী শ্রোতাদের সঙ্গে তাদের সংগীত ভাগ করে নেওয়া এবং মানুষকে আরও আবেগের সঙ্গে বাঁচতে উৎসাহিত করা।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অক্টোবরে অপার্থিব বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার্তদের সহায়তায় ‘আবছা নীল কণা’ শিরোনামে একটি লাইভ কনসার্টের আয়োজন করেছিল। সে আয়োজনে অপার্থিব ছাড়াও অংশ নিয়েছিল আরও তিনটি বাংলা ব্যান্ড।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব য ন ড দল আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে কারখানা চালু করল সুইজারল্যান্ডের সিকা

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নতুন কারখানা চালু করেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক রাসায়নিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিকা বাংলাদেশ। আজ সোমবার দুপুরে সোনারগাঁয়ের টিপরদী এলাকায় মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এমআইইজেড) প্রতিষ্ঠানটির কারখানা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।

কারখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেংগলি। বিশেষ অতিথি ছিলেন মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল। এ ছাড়া সিকা বাংলাদেশের প্রধান সঞ্জীবন রায়, সিকা এশিয়া প্যাসিফিক ম্যানেজমেন্টের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ইউমি কানসহ মেঘনা গ্রুপ ও সিকা বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিকা বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড সঞ্জীবন রায় বলেন, ‘সিকা বাংলাদেশ’ হলো সিকার ১০০তম সহযোগী প্রতিষ্ঠান, যা আমাদের জন্য এক গৌরবের মাইলফলক। সিকা এখন বিশ্বজুড়ে টেকসই উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের প্রতীক। নির্মাণ ও শিল্প খাতে স্থায়িত্ব, শক্তি এবং উপকরণের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আমরা নিরন্তরভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের নির্মাণ খাতের রাসায়নিক বাজার বর্তমানে প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলারের। এ বাজারে সিকার অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫০ কোটি সুইস ফ্রাঁ বিনিয়োগে নতুন কারখানা করেছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রায় ৮ হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে স্থাপিত কারখানাটিতে দুটি আধুনিক উৎপাদন লাইন রয়েছে। যার মধ্যে একটি লিকুইড অ্যাডমিক্সচার ও অন্যান্য কংক্রিট পণ্য উৎপাদনের জন্য এবং অপরটি পাউডারভিত্তিক পণ্য তৈরির জন্য। বিশ্বজুড়ে নির্মাণ ও মোটরগাড়ি শিল্পের জন্য বন্ডিং, সিলিং, রিইনফোর্সিং, প্রটেকশন ও ড্যাম্পিং পণ্যে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান সিকা বর্তমানে ১০০টিরও বেশি দেশে কার্যক্রম রয়েছে।

সিকা বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত রেটো রেংগলি বলেন, সিকা মানেই গুণগত মান, উদ্ভাবন এবং আধুনিক প্রযুক্তির সংমিশ্রণ। ‘সিকা’ বিশ্বজুড়ে নির্মাণ খাতে উচ্চমানের উদ্ভাবনী পণ্য এবং সমাধান দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার।

সিকার এই যাত্রা মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বাংলাদেশের জন্য গর্বের বলে উল্লেখ করেন এমজিআইয়ের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘নির্মাণ খাতে সিকা বিশ্বে নেতৃত্বদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান। সিকার বিনিয়োগ আমাদের অঞ্চলের সমৃদ্ধি বয়ে আনতে সহায়ক হবে। মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চল বিনিয়োগ নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য অবকাঠামোসহ যাবতীয় সুযোগ–সুবিধা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের পাশে থাকবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ