Samakal:
2025-08-01@02:24:19 GMT

অপার্থিবের ‘আবছা নীল কণা’

Published: 14th, March 2025 GMT

অপার্থিবের ‘আবছা নীল কণা’

সিম্ফোনিক মেটাল ব্যান্ড অপার্থিব প্রকাশ করতে যাচ্ছে তাদের প্রথম অ্যালবাম ‘আবছা নীল কণা’। শিগগিরই একযোগে প্রধান সব ডিজিটাল স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে অ্যালবামটি প্রকাশ করা হবে বলে অপার্থিব সদস্যরা জানান। আরও জানান, অর্কেস্ট্রা ও পাওয়ার মেটাল রিদমের মিশ্রণের সাতটি গান দিয়ে ‘আবছা নীল কণা’ অ্যালবামটি সাজানো হয়েছে। সম্প্রতি শেষ হয়েছে ‘আবছা নীল কণা’-এর মিউজিক ভিডিওর শুটিং। চলছে পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ।

ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী ও গিটারিস্ট সালেহীন বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত এই অ্যালবামের ৫টি ট্র্যাক প্রকাশ করেছি। আমাদের সংগীতের প্রতি আন্তর্জাতিক ও দেশীয় শ্রোতাদের অফুরন্ত ভালোবাসা এবং আবেগ আমাদের গভীরভাবে স্পর্শ করে। প্রথম অ্যালবামের কাজের ক্ষেত্রে শ্রোতাদের সমর্থন এবং ভালোবাসা ছিল আমাদের জন্য বিরাট অনুপ্রেরণা। আমরা বিশ্বাস করি, সংগীত হচ্ছে অন্যতম একটি মাধ্যম, যা আমাদের বারবার দেশের মানুষের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।’ 

অপার্থিব প্রথম মঞ্চে ওঠে ২০০৯ সালে। তখন ব্যান্ডের সবাই ছিলেন কার্লটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বর্তমানে, ব্যান্ডের পাঁচ সদস্য সৈয়দ আদনান আলী কিরন [ড্রামার], সালেহীন চৌধুরী উচ্ছাস [কণ্ঠশিল্পী ও গিটারিস্ট], আসফিন হায়দার দিশা [কণ্ঠশিল্পী], আদিয়ান ফয়সাল পূর্ণা [কি-বোর্ডিস্ট] ও সৈয়দ আহসান আলী কিরন [বেজ গিটারিস্ট] কানাডার অটোয়াতে বসবাস করছেন। সেখানেই ধারাবাহিকভাবে সংগীত নিরীক্ষা ও নতুন গানের সব আয়োজন করে যাচ্ছেন তারা। ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে যাওয়ার সুবাদে এরই মধ্যে অপার্থিব স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের পরিচিতি গড়ে নিতে পেরেছে। তাদের লক্ষ্য, বিশ্বব্যাপী শ্রোতাদের সঙ্গে তাদের সংগীত ভাগ করে নেওয়া এবং মানুষকে আরও আবেগের সঙ্গে বাঁচতে উৎসাহিত করা।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অক্টোবরে অপার্থিব বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার্তদের সহায়তায় ‘আবছা নীল কণা’ শিরোনামে একটি লাইভ কনসার্টের আয়োজন করেছিল। সে আয়োজনে অপার্থিব ছাড়াও অংশ নিয়েছিল আরও তিনটি বাংলা ব্যান্ড।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব য ন ড দল আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী। 

গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?  

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”

আরো পড়ুন:

কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী

পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি

কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”

কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ