একের পর এক বিদায় নিচ্ছেন জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা। সেই জায়গায় আসবে নতুন মুখ। নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের সুযোগ ও তাদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। 

সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস এসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) ইফতারে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘সময় আসছে পুরনোদের তো যেতেই হবে। কিন্তু আমার মনে হয় গত কিছুদিন আমরা বোধহয় নতুন কিছু খেলোয়াড়দের দেখেছি যারা যথেষ্ঠ যোগ্যতা রাখে জাতীয় দলে খেলার। আমরা যদি মিডিয়াতে দেখি, আপনাদের আলাপ-আলোচনাতেও দেখি অনেকের কথাই উঠে আসে ও কেন দলে নেই, ও কেন দলে নেই। এ নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্কও হতে দেখি।’

ফাহিম আরও বলেন, ‘এখন উচিৎ নতুনদের সুযোগ দেওয়া। যদি তাদের বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, তারা যোগ্য। আমরা সবাই যদি মনে করি তারা যোগ্য না, যারা চলে যাচ্ছে তাদের চেয়ে খারাপ। তাদের মতো খেলোয়াড় হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমার মনে হয় না নতুন খেলোয়াড় উঠে আসবে। আমাদেরও তাদের বিশ্বাস করাতে হবে তারা যোগ্য।’

এদিকে পঞ্চপাণ্ডবের অন্যান্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে তুলনা করে ফাহিম বলেন, ‘মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ঠিক সাকিব-তামিম-মুশফিকের ক্যারিয়ার যেমন ছিল, যতটা সহজ ছিল, ততটা সহজ ওর জন্য ছিল না। কিন্তু ওকে অনেক পরিশ্রম করে জাতীয় দলে আসতে হয়েছে।’

এমনকি মাহমুদউল্লাহ মিডিয়া ও ক্রিকেট ভক্ত থেকে শুরু কোথাও সেভাবে গুরুত্ব পাননি বলেও মনে করেন ফাহিম, ‘এই জায়গাটা তার নিজে থেকেই তৈরি করতে হয়েছে, তারপরও কি করেছে দেখেছেন সবাই। কখনও ওর ওপর ফোকাসটা কিন্তু সেভাবে আমরা দেখিনি। মিডিয়া বলেন বা সাধারণ কেই তার ওপর মনোযোগটা দেখা যায়নি। তবুও সে কিন্তু নিজের মত করে চেষ্টা করেছে। জাতীয় দলকে এত লম্বা সময় ধরে সার্ভিস দিয়েছে। একটা সময় এসেছিল সে একটা স্বীকৃতি পেয়েছে ফিনিশার হিসেবে। সবমিলিয়ে তার দারুণ ক্যারিয়ারই বলব।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভারতীয় জলসীমায় গ্রেপ্তার ১৩ বাংলাদেশি

মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে আবারো ভারতীয় জলসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক করা হয়েছে বাংলাদেশি ট্রলার। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মায়ের দোয়া নামক ওই ট্রলারে মোট ১৩ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বাংলাদেশি ওই ফিশিং ট্রলারটি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।

উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের আটক এর ব্যাপারে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাজেয়াপ্ত ট্রলার ও ১৩ জন মৎস্যজীবীকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার হাতে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে তোলা হবে। 

আরো পড়ুন:

জলবায়ু পরিবর্তনে বদলাচ্ছে রোগের চিত্র, বাড়ছে বিরল সংক্রমণ 

অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!

এর আগে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে জলসীমা অতিক্রম করার অভিযোগে আটক করা হয় ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবিকে। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল  বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। 

প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি ‘এফবি ঝড়’ এবং ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮’ নামে দুটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারের ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। পরবর্তীতে মোংলা থানার পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পাল্টাপাল্টি মৎস্যজীবী আটকের ঘটনায় দুই দেশের তরফেই ফের কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তবে মৎসজীবীদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে দুই দেশের এখনো কোনোপ্রকার আলোচনা শুরু হয়নি বলেই দূতাবাস সূত্রের খবর।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ