১৫ মার্চ ভারতীয় অভিনেতা যীশু সেনগুপ্তের জন্মদিন। সম্প্রতি ভায়োলেন্স, অ্যাকশন ও রোম্যান্টিক ঘরানার ঢালিউড সিনেমা ‘বরবাদ’-এর টিজারে দেখা গেছে তাকে। টিজারে তাকে দেখে উচ্ছ্বসিত সিনেপ্রেমীরা। যদিও এক ঝলক দেখা গেছে তাকে। যীশুর চরিত্র কেমন হবে সে বিষয়ে ধারণা করার অবকাশ রাখেননি পরিচালক। বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিলো বাংলাদেশের সিনেমায় কাজ করবেন যীশু। এবার সেই ধারণা সত্য হলো। বড় পর্দায় তাকে শাকিবের সঙ্গে দেখার ইচ্ছা পূরণ হবে বাংলা ভাষাভাষী সিনেমাপ্রেমীদের।
যীশুর ক্যারিয়ারের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। সেকেন্ড রোলে কাজ করতে হয়েছে। অনেক সময় জিৎ, দেব, প্রসেনজিৎ যেসব সিনেমা ছেড়ে দিয়েছেন, সেগুলোতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। এখন তাকেই এখন বলা হয় ‘এক্সপেনসিভ অ্যাক্টর’।
ক্যারিয়ারের শুরু, বর্তমান আর ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে যীশু বলেন, ‘‘এখন আমার সময় একটু বেটার। লোকে আমার সিনেমা দেখছে, ভালো অভিনেতা বলছে। একটা সময আসবে যখন বলবে, ‘না না যীশুকে নিস না’। এমন একটা সময় আমার জীবনে আগে একবার এসেছিল। একটা সময় এসেছিল আমাকে বলা হতো যীশু ‘আনলাকি’। যেসব সিনেমাতে প্রোডিউসাররা দেব, জিৎ অথবা প্রসেনজিৎকে এফোর্ট করতে পারতো না, সেইসব সিনেমাতে আমাকে নেওয়া নিত। তারপর যীশু লাকি হয়ে গেল। যীশু ভালো অভিনেতা হয়ে গেল। এখন আমি সিনেমার হিরো হই কী ভিলেন হই, সেটা আমার কাছে ব্যাপার না। গল্পে আমার চরিত্র কী সেটাই আসল মনে করে কাজ করে যাচ্ছি। আমাকে যখন আনলাকি বলা হতো তখনও আমার কখনও মন খারাপ হয়নি, আমি আমার কাজটি করে গিয়েছি। একটা কথাই জানতাম আমাকে আমার কাজ করে যেতে হবে।’’
আরো পড়ুন:
‘ব্রেকিং নিউজ’ এ তটিনী
‘বিষাক্ত বকুলের গল্প’
এই অভিনেতা বলেন, ‘‘আমি প্রতি মুহূর্তে বাঁচি, ভবিষ্যদেত কী হবে জানি না। আরেকটি কথাও বিশ্বাস করি, যেখানে সম্মান থাকবে না সেখান থেকে সরে যাওয়াটাই ভালো। ’’
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম র ক ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?