খুলনায় বিএনপি নেতা মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
Published: 16th, March 2025 GMT
খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন তারই ছোট ভাইয়ের স্ত্রী।
আজ রোববার খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জানান, নির্যাতনের ঘটনায় তিনি আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু সংস্থাটি এক মাসেও তদন্ত শুরু করেনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মনির ওই নারীর সৎ ভাশুর। সম্প্রতি তার স্ত্রী মারা গেছেন। এর পর মনিরের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। স্বামী ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। দুই সন্তান নিয়ে খুলনায় বসবাস করছেন তিনি। এ সুযোগে ভাশুর বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দেন। রাজি না হওয়ায় হুমকি-ধমকিও দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আমি গোসলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ করে তিনি আমার শোবার ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে কিলঘুসি মেরে আহত করেন। আমার ছোট ছেলে এসে পড়লে তিনি পালিয়ে যান। ঘটনার পরপরই আমি সোনাডাঙ্গা থানায় দু’বার গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, পরে যৌথ বাহিনীর ক্যাম্পে গেলে তাদের পরামর্শে ১৯ ফেব্রুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দেই। মনিরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগী।
অভিযোগ অস্বীকার করে মনির জানান, তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী টিকটকার। স্বামীর অবর্তমানে টিকটক করে বেড়ানোয় পরিবারিকভাবে মানসম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছিল। এ কাজে বাধা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।