যশোরে মোবাইল চার্জ দেওয়ার কথা বলে ঘরে ঢুকে ৪ বছরেরে শিশুর গলায় ছুরিধরে মাকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরতলীর বিরামপুর গাবতলায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী নারীর ভাই জানান, তাদের এক প্রতিবেশী ও তার কয়েকজন সহকারী রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোবাইল চার্জ দেওয়ার কথা বলে ঘরের দরজা খোলায়। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ঘরে থাকা ৪ বছরের শিশুর গলায় চাকু ধরে ওই শিশুর মাকে ধর্ষণচেষ্টা চালায়৷ তখন চিৎকার করলে ওই শিশু ও তার মাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় হাসানসহ তার সহযোগীরা৷ 

ভুক্তভোগী নারীর বাবা জানিয়েছেন, বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে তাদের এক প্রতিবেশী এ কাণ্ড ঘটিয়েছে৷ তিনি তার মেয়ে ও নাতনীকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন৷

যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী বাবুল হোসেন জানিয়েছেন, এ ঘটনায় জড়িতদের আটকে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।  দ্রুতই জড়িতদের আটক করা হবে বলে জানান তিনি৷ তবে এ ঘটনা এখনও কোনো মামলা হয়নি। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে

একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।

এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।

আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫

প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।

সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ