দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের দীর্ঘতম রেলওয়ে সেতু ‘যমুনা রেলসেতু’র উদ্বোধন হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। এর মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ আরও সহজ হবে। ডাবল ট্র্যাকের সেতু পেয়ে খুশি রেলযাত্রীরা। তবে সিঙ্গেল ট্র্যাকের রেললাইন হওয়ায় সেতুটির পুরোপুরি সুফল সহসাই মিলবে না। বিষয়টি স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে ডাবল ট্র্যাক রেললাইন তৈরি করা হবে। এর ফলে যোগাযোগ, বাণিজ্য ও অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে। 
৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের যমুনা রেলসেতু দেশের দীর্ঘতম প্রথম ডাবল ট্র্যাকের ডুয়েল গেজের সেতু। এটি ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যানে নির্মিত। সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে রেলপথ বিভাগ। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম। কর্মসূচির মধ্যে যমুনা রেলসেতু পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্তে সয়দাবাদ রেলস্টেশন পর্যন্ত উদ্বোধনী ট্রেনে অতিথি ও সংশ্লিষ্টরা সেতু পার হবেন। সেখানে ১১টা ৪০ মিনিটে সয়দাবাদ রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলনের পর দুপুর ১২টায় ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশন পূর্ব প্রান্তে ফিরে আসবে।
ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশনের মাস্টার শাহীন মিয়া বলেন, সেতু দিয়ে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলতে পারবে। তবে উদ্বোধনের দিন থেকে প্রথম পর্যায়ে ৯০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলবে। এতে সময় লাগবে সাড়ে তিন মিনিট। বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম বলেন, রেলসেতুতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে সেতুতে পরবর্তী সময়ে রঙ করার দরকার হবে না।
এদিকে যমুনা রেলসেতু দিয়ে চলাচলকারী প্রতিটি ট্রেনের আসনের শ্রেণি অনুযায়ী ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ৪৫ থেকে ১৪৫ টাকা। রেলসেতুর সমন্বিত দূরত্বের নিয়ম অনুযায়ী এই ভাড়া বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। পরে দুই বছর বাড়ানো হলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়ায়। যার মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থায়ন এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র লস ত র লওয়

এছাড়াও পড়ুন:

'মানসিক ভারসাম্যহীন' বৃদ্ধের ব্যাগে সাড়ে ৩ লাখ টাকা

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় 'মানসিক ভারসাম্যহীন' এক বৃদ্ধের ময়লা কাপড়ের ব্যাগে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৫২ টাকা পাওয়া গেছে। শনিবার বিকেলে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা পোস্ট অফিস মোড় এলাকায় গোসল করানোর সময় তাঁর ব্যাগ তল্লাশি করে ওই টাকা পান। পুলিশ টাকাসহ বৃদ্ধকে নিজেদের জিম্মায় নিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আবদুল গনি নামের ওই বৃদ্ধকে শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক, পুলিশ ক্লাব ও পোস্ট অফিস মোড় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দেখা যায়। কারও কাছে তিনি কখনও টাকা চান না। লোকজন এমনিতেই তাকে টাকা ও খাবার দিতেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কয়েকজন সদস্য তাকে গোসল করানোর উদ্যোগ নেন। তাকে ধরে তারা গায়ের পোশাক খুলছিলেন। এ সময় তার গায়ের শার্টের হাতা, কলার ও কাপড়ের ব্যাগে টাকাগুলো পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ওসি ফইম উদ্দিন বলেন, 'ওই বৃদ্ধের নাম আবদুল গনি বলে জানা গেছে। তার কাছ থেকে পাওয়া টাকা পুলিশের জিম্মায় রয়েছে। তার নিকটাত্মীয়-স্বজন খোঁজা হচ্ছে। কাউকে পেলে টাকাসহ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।'

সম্পর্কিত নিবন্ধ