ঈদে ফেসবুক লাইভ থেকে কেনাকাটার সুযোগ দিচ্ছে বিকাশ, ৫০০ টাকা পর্যন্ত ছাড়
Published: 18th, March 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফেসবুক লাইভ থেকে জনপ্রিয় সব ব্র্যান্ডের পণ্য কেনার সুযোগ করে দিচ্ছে বিকাশ। ঈদ সামনে রেখে গ্রাহকের কেনাকাটা আরও সহজ করতে এ প্রচারণা শুরু করেছে মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিকাশ জানিয়েছে, বিকাশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ, বিকাশ ফর বিজনেস ও সংশ্লিষ্ট মার্চেন্টদের পেজ থেকে লাইভ চলাকালে গ্রাহকেরা লা রিভ, সারা লাইফস্টাইল, সেইলর, র নেশন, ফেব্রিলাইফ ও সেলাইয়ের মতো ব্র্যান্ড থেকে পণ্য কিনতে পারবেন।
এসব ব্র্যান্ডের পণ্য কিনে মার্চেন্টভেদে গ্রাহকেরা পেতে পারেন ৫০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যছাড় বা ক্যাশব্যাকের সুযোগ। শুধু তা–ই নয়, এসব লাইভ অনুষ্ঠান থেকে গ্রাহকেরা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ঈদের পণ্য সম্পর্কেও ধারণা নিতে পারছেন।
বিকাশ জানিয়েছে, লাইভ চলাকালে গ্রাহকেরা সরাসরি মার্চেন্টদের ফেসবুক অথবা ওয়েবসাইট ভিজিট করে পণ্যের কার্যাদেশ দিতে পারেন। পাশাপাশি আউটলেট থেকে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে বিকাশে অর্থ পরিশোধের সময় আর ওয়ান কুপন যোগ করে গ্রাহকেরা ৫০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যছাড় পেতে পারেন।
এই প্রচারণার অধীন প্রতিদিন এসব পেজে লাইভ সেশন হচ্ছে। এসব লাইভ সেশনের জনপ্রিয় উপস্থাপক ও প্রচারকেরা ব্র্যান্ডগুলোর ঈদসংগ্রহ তুলে ধরছেন।
গ্রাহকেরা আবার এসব লাইভ সেশন বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ বা প্রোফাইলে শেয়ার করে উপহার জিতে নিতে পারেন। সবচেয়ে বেশি শেয়ারকারী বিজয়ী পাবেন মার্চেন্টের পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার। লাইভ চলাকালে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া নির্দিষ্ট কিছু মার্চেন্টে গ্রাহক লাইভ শেয়ার করার স্ক্রিনশট দেখালে কেনাকাটায় বিশেষ ছাড় পাচ্ছেন।
বিকাশের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, দেশে ডিজিটাল পেমেন্টকে বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থ পরিশোধ উৎসাহিত করতে বিকাশ কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে বিকাশের প্রায় ১০ লাখ মার্চেন্ট আছেন, যাঁরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থ পরিশোধে ভূমিকা রাখছেন। সাধারণ মানুষ ও এসব মার্চেন্টের ডিজিটাল অভ্যস্ততা বাড়ানোর অংশ হিসেবে এ প্রচারণা চালাচ্ছে বিকাশ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।