পল্লবীতে নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, দুজন গ্রেপ্তার
Published: 18th, March 2025 GMT
রাজধানীর পল্লবী এলাকায় এক নারী (৫০) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার গভীর রাতে নির্মাণাধীন একটি ভবনে এ ঘটনা ঘটে। পরে মঙ্গলবার সকালে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। তিনি নিজেকে একটি দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ক্যান্টনমেন্ট ও পল্লবী থানার সীমান্তবর্তী আজিজনগর এলাকায় একটি অপরাধী চক্রের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে যান ওই নারী। তবে সেখানে পৌঁছানোর আগেই রাত ১টার দিকে ইসিবি চত্বরে তাকে আটক করে ১৬ দুর্বৃত্ত। তারা নারীকে জোর করে পল্লবীর গ্রীন সিটি বালুর মাঠ এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে আসামিরা একের পর এক তাকে ধর্ষণ করে। পরে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ভুক্তভোগীর মাধ্যমে খবর পেয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে স্থানটি পল্লবী থানার আওতাধীন হওয়ায় তারা বিষয়টি আমাদের জানায়। এরপর আমরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করি। ধর্ষণে অভিযুক্ত দুজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন নির্মাণাধীন ভবনটির তত্বাবধায়ক এনামুল হক ও হামিদুর রহমান।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মার্চে নির্যাতনের শিকার ৪৪২ নারী
গত মার্চে ৪৪২ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণ করা হয়েছে ১২৫ কন্যাসহ ১৬৩ জনকে। ১৮ কন্যাসহ ৩৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। দুই কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। দুই কন্যা ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া ৫৫ কন্যাসহ ৭০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে সাম্প্রতিক নারীর মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ তথ্য জানান। এর আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে মোট ১৮৯ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৩০ কন্যাসহ ৪৮ জন। তার মধ্যে তিন কন্যাসহ ১১ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এক কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
জানুয়ারিতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে মোট ২০৫ নারী ও কন্যাশিশু। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩৩ কন্যাসহ ৪৯ জন। তার মধ্যে ১৪ কন্যাসহ ২০ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এক কন্যাসহ দুইজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া দুইজনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
মডারেটরের বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৫ নম্বর ধারা জেন্ডার সমতা। এটি উপেক্ষা করা কোনো রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব নয়।
সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, নারী আন্দোলনের অন্যতম দাবি অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন, রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ, সংসদে এক-তৃতীয়াংশ আসন ও সরাসরি নির্বাচন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা বেগম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় অ্যাডভোকেসি ও নেটওয়ার্কিং পরিচালক জনা গোস্বামী।
পুলিশ সদরদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মার্চে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে দুই হাজার ৫৪টি। এর আগে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চে ১৩২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জানায়, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৯৯ কন্যাশিশু।