সাভারে এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রের (সিআরপি) পাশে তিন রাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

নিহত তরুণের নাম সুলতান হোসেন (২১)। সাভারের ডগরমোড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে রংমিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি। তিনি নোয়াখালী জেলার রামগঞ্জের তসলিম চৌধুরীর ছেলে।

নিহত ব্যক্তির বন্ধু মাহিদুল হাসান বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে ৮-১০ জন সাগরকে ডগরমোড়া এলাকা থেকে ধাওয়া দিয়ে সিআরপি এলাকায় তিন রাস্তার মোড়ে নিয়ে কুপিয়ে আহত করেন। আহত অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাকিব আল মাহমুদ বলেন, রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ওই তরুণকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর পায়ে একাধিক আঘাত ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা বলেন, একজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ