ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপকে রাশিয়ায় বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে
Published: 20th, March 2025 GMT
রাশিয়ার বুধবারের কিছু গণমাধ্যমের খবরের শিরোনাম বিবেচনা করে মস্কো ধারণা করতে পারে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে সর্বশেষ টেলিফোন কথোপকথন ভালোভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। অবশ্যই তা ক্রেমলিনের জন্য ভালো হয়েছে।
ইজভেস্তিয়ার খবরে বলা হয়েছে, পুতিন ও ট্রাম্প ইউক্রেন সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।
কমসোমলস্কায়া প্রাভদা লিখেছে, পুতিন-ট্রাম্প দীর্ঘ ফোনালাপের রেকর্ড। পত্রিকাটির ওয়েবসাইট আরও বলা হয়েছে, পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে মনে হয়, রাশিয়া এখানে একটি কূটনৈতিক বিজয় অর্জন করেছে।
দুই ঘণ্টার এই ফোনালাপের পর কেন রাশিয়ার কেউ কেউ ‘বিজয়’ দাবি করছেন? সম্ভবত এর কারণ শেষ পর্যন্ত, পুতিনকে ইউক্রেন বা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কোনো বড় ছাড় দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়নি। বিপরীতে, তিনি কার্যত ট্রাম্পের তাৎক্ষণিক নিঃশর্ত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির ধারণা প্রত্যাখ্যান করতে সক্ষম হয়েছেন।
রাশিয়াকে তার পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করার জন্য আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানার হুমকি দিয়ে মস্কোর ওপর চাপ দেওয়ার পরিবর্তে, মার্কিন প্রশাসন ক্রেমলিন নেতার প্রশংসা করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
ট্রাম্প ফক্স নিউজকে বলেছেন, আমাদের দারুণ একটি ফোনালাপ হয়েছে।
ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন তার দেশকে একটি চূড়ান্ত শান্তি চুক্তির কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার আহ্বানে যা করেছেন তার জন্য আমি তার প্রশংসা করব।’
পুতিন নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের সময় শান্তি নিয়ে নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে কিয়েভকে পশ্চিমা সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য দেওয়া বন্ধ করা। একই সঙ্গে ইউক্রেনে কোনো ধরনের সেনা সমাবেশের বিরোধিতার কথা বলেছেন তিনি। এ ধরনের পরিস্থিতিকে ব্যাপকভাবে ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ নিশ্চিত করার একটি উপায় হিসেবে দেখা হয়।
এসব শর্তে কিয়েভ রাজি হচ্ছে-এমটা ধারণা করা কঠিন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে—কিন্তু মস্কো কি ট্রাম্প প্রশাসনকে শেষ পর্যন্ত এই শর্তগুলো গ্রহণযোগ্য বলে রাজি করাতে পারবে? আর যদি তাই হয়, তাহলে কি ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে সেগুলো মেনে নিতে বাধ্য করবে?
ইউক্রেনকে কোণঠাসা অবস্থায় রক্ষা করার চেয়ে মস্কোর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে ট্রাম্পের অনেক কিছু লাভ করার আছে, ক্রেমলিন যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এ কথা বোঝাতে পারে তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর
দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”
তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী