সুন্দর হাসি কার না ভালো লাগে। আর সুন্দর হাসির সবচেয়ে বড় সোপান হলো উজ্জ্বল দাঁতের শোভা। যদি দাঁতের গড়নে কোনো ধরনের সমস্যা থাকে বা দাঁতের মধ্যে কোনো স্পট বা দাগ থাকে, তাহলে তা শারীরিক সৌন্দর্য তথা নির্মল হাসিকে ম্লান করে দেয়।
দন্তবিজ্ঞানীদের মতে, অনেক সময় অস্থির গঠন সম্পৰ্কীয় সমস্যার কারণে দাঁতের ভঙ্গুরতাসহ সাদা দাগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। জন্মগত বা পারিবারিক সূত্রে, আবার কখনও জন্মের পরবর্তী জীবনপ্রণালির সমস্যার কারণে এ ধরনের দাঁতের ক্ষয়রোগসহ সাদা স্পট দেখা দিতে পারে। অনেক সময় পানিতে ফ্লুইডের অভাব থাকলেও দাঁতের ক্ষতি হতে পারে।
এ সমস্যা সমাধানে কিছু বিষয় জেনে নিন–
প্রতিদিন নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা
প্রতিদিন যত্নসহকারে দুই বেলা ব্রাশ করলে দাঁতের স্পট পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি ভালো টুথপেস্ট এবং ব্রাশ থাকা দরকার। খাওয়ার পরপরই দাঁত পরিষ্কার করা উচিত। অনেক ক্ষেত্রে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কারের জন্য ডেন্টাল ফ্লস বা সুতা কাজে আসতে পারে।
এসিডিক খাবার থেকে সাবধান
যেসব খাবারে অতিরিক্ত এসিড বা অম্লতা রয়েছে– কোমল পানীয়, কৃত্রিম সস, কৃত্রিম ফলের রসের মধ্যে রয়েছে এ ধরনের এসিডিক উপাদান। এই এসিডিক উপাদানের মাত্রাধিক উপস্থিতি দাঁতের অ্যানামেলকে নষ্ট করে দেয়। ফলে দেখা যায় দাঁতের সব সাদা স্পট। এ জন্য খাবার গ্রহণে সতর্কতা প্রয়োজন। এমনকি ননমেডিকেটেড টুথপেস্ট থেকেও দাঁতের ক্ষতি হতে পারে।
দাঁতের ক্ষয়রোধে লেবুর রস
যদিও বলা হচ্ছে, দাঁতের ক্ষয়রোধে এসিডিক খাবার কম ব্যবহার করতে। তার পরও সাইট্রিক এসিডের উৎস লেবুকে দাঁত ক্ষয়রোধে কার্যকর পথ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাইট্রিক এসিডের পিএইচ একটু বেশি থাকায় এর উপাদান দাঁতের ক্ষয়সাধন না করে শুধু ব্লিচিংয়ের কাজ করে থাকে। এক চামচ লেবুর রস, এক চিমটে লবণ সহযোগে দাত পরিষ্কার করলে দাঁত উজ্জ্বল থাকে এবং সাদা দাগ থাকে না।
দাঁতের ক্ষয়রোধে হলুদ
হলুদ দাঁতকেও সৌন্দর্যময় করে তুলতে পারে। নিয়মিত সামান্য হলুদ, লবণ এবং লেবুর রস সহযোগে পেস্ট তৈরি করে তা প্রতিদিন দু’মিনিট দাঁতে প্রয়োগ করলে দাঁতের ক্ষয় ভাব কমে আসে। দাঁত মজবুত থাকে।
দাঁতের জন্য ভিনেগার
ভিনেগার ও বেকিং সোডা বা খাবার সোডার পেস্ট তৈরি করে সপ্তাহে এক দিন ব্যবহার করলে দাঁতের ক্ষয়ভাব অনেকটা কমে আসে।
লেখক : দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ ত র যত ন র সমস য এস ড ক স ন দর
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫