বরিশালে নাহিদ ইসলাম ইসলামের সামনেই ২ গ্রুপের হাতাহাতি
Published: 20th, March 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে বরিশাল ক্লাবে মতবিনিময় করেন এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইমলাম। বরিশাল ক্লাবে ইফতার পরবর্তী বক্তৃতা করেন নাহিদ ইসলাম। বক্তৃতা শেষে অধিকাংশ সাংবাদিক চলে যান। এর পরই বরিশাল ক্লাবের হলরুমে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে দু’ গ্রুপের নেতা-কর্মীরা।
সেখানে তাদের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে পদবঞ্চিতরা বিক্ষোভ করলে অপর গ্রুপের সাথে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। এসময় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মাইকে বার বার তাদেরকে থামার জন্য অনুরোধ করলেও কেন্দ্রীয় আহ্বায়কের সামনেই হাতাহাতি চলতে থাকে।
পরে নাহিদ ইসলাম বের হয়ে যাওয়ার সময় গাড়ির সামনেও একই চিত্র দেখা যায়। সেখানে গাড়ির পথরোধ করে এক গ্রুপ বিক্ষোভ শুরু করে। সেসময় অপর গ্রুপও সেখানে উপস্থিত হলে উত্তেজনা দেখা দেয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেলে বরিশাল ক্লাবে মতবিনিময় সভায় যোগদিতে আসেন নাহিদ ইসলাম। এসময় তার সাথে এনসিপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/পলাশ/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বর শ ল ক ল ব ন হ দ ইসল ম র স মন
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস