বঙ্গোপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থা বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে আলোচনার জন্য এ সপ্তাহে দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে ঢাকার। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় সম্ভাব্য আলোচনার জন্য বাংলাদেশ বুধবার ভারতকে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছে।

ঢাকা ও দিল্লির একাধিক কূটনৈতিক সূত্র প্রথম আলোকে বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ব্যাংককে দুই দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বৈঠকের বিষয়ে বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে।

আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে ষষ্ঠ বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। এ বৈঠকে যোগ দিতে আগামী ৩ এপ্রিল ব্যাংকক যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। সম্মেলন শেষ করে ৪ এপ্রিল ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে তাঁর।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.

তৌহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এএনআইকে বলেন, ‘বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে আমাদের দুই নেতার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে আমরা ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ করেছি।’

প্রসঙ্গত, এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে বৈঠকের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তবে সে সময় দুই নেতার বৈঠকটি হয়নি।

ব্যাংককে বৈঠকটি হলে এটাই হবে অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে ভারতের শীর্ষ পর্যায়ের প্রথম বৈঠক।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র বর ত র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’

আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।

পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’

শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ