দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ব্রাজিল। ঘরের মাঠ গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের শেষ মুহূর্তের নাটকীয় গোলে ২-১ ব্যবধানে জয় পায় সেলেকাওরা। তবে ম্যাচ শেষে জয় নয়, আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে ব্রাজিলের সাতটি বদলি!

সাধারণত ফুটবলে একটি ম্যাচে সর্বোচ্চ পাঁচটি পরিবর্তন করা যায়। অতিরিক্ত সময় হলে সেই সংখ্যা হয় ছয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কীভাবে সাতজন বদলি করল ব্রাজিল? এ নিয়েই শুরু হয় কৌতূহল।

আসলে ব্রাজিল নিয়ম ভাঙেনি। অতিরিক্ত একজন বদলির সুযোগ পেয়েছে ‘কনকাশন সাবস্টিটিউশন’ নিয়মের আওতায়। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার দাভিনসন সানচেজের সঙ্গে সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পান গোলরক্ষক আলিসন বেকার। ঘটনার পর প্রায় ১০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। পরে দুই খেলোয়াড়ই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন।

ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, কোনো খেলোয়াড় মাথায় আঘাতজনিত কারণে (কনকাশন) খেলা চালিয়ে যেতে না পারলে সেই দলের জন্য এক অতিরিক্ত বদলির সুযোগ থাকে। ব্রাজিল সেই সুবিধা নিয়েই সপ্তম খেলোয়াড় হিসেবে লিও ওরতিজকে মাঠে নামায়। আলিসনের বদলে গোলপোস্টে নামেন বেন্তো। 

বাকিদের মধ্যে নিয়মিত বদলি হিসেবে মাঠে নামানো হয় জোয়েলিন্তন, মাথেউস কুনিয়া, সাভিনিও, আন্দ্রে, ওয়েসলি ফ্রাঙ্কা ও বেন্তোকে। শেষ মুহূর্তে ভিনিসিয়াসের গোলের পর তাকে উঠিয়ে ওরতিজকে নামানো হয়। ফলে নিয়ম অনুযায়ী কোনো ভুল না করেই সাত পরিবর্তন করেছে ব্রাজিল।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ