৭ বদলি নামিয়ে আলোচনায় ব্রাজিল, কী বলছে নিয়ম?
Published: 21st, March 2025 GMT
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ব্রাজিল। ঘরের মাঠ গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের শেষ মুহূর্তের নাটকীয় গোলে ২-১ ব্যবধানে জয় পায় সেলেকাওরা। তবে ম্যাচ শেষে জয় নয়, আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে ব্রাজিলের সাতটি বদলি!
সাধারণত ফুটবলে একটি ম্যাচে সর্বোচ্চ পাঁচটি পরিবর্তন করা যায়। অতিরিক্ত সময় হলে সেই সংখ্যা হয় ছয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কীভাবে সাতজন বদলি করল ব্রাজিল? এ নিয়েই শুরু হয় কৌতূহল।
আসলে ব্রাজিল নিয়ম ভাঙেনি। অতিরিক্ত একজন বদলির সুযোগ পেয়েছে ‘কনকাশন সাবস্টিটিউশন’ নিয়মের আওতায়। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার দাভিনসন সানচেজের সঙ্গে সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পান গোলরক্ষক আলিসন বেকার। ঘটনার পর প্রায় ১০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। পরে দুই খেলোয়াড়ই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন।
ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, কোনো খেলোয়াড় মাথায় আঘাতজনিত কারণে (কনকাশন) খেলা চালিয়ে যেতে না পারলে সেই দলের জন্য এক অতিরিক্ত বদলির সুযোগ থাকে। ব্রাজিল সেই সুবিধা নিয়েই সপ্তম খেলোয়াড় হিসেবে লিও ওরতিজকে মাঠে নামায়। আলিসনের বদলে গোলপোস্টে নামেন বেন্তো।
বাকিদের মধ্যে নিয়মিত বদলি হিসেবে মাঠে নামানো হয় জোয়েলিন্তন, মাথেউস কুনিয়া, সাভিনিও, আন্দ্রে, ওয়েসলি ফ্রাঙ্কা ও বেন্তোকে। শেষ মুহূর্তে ভিনিসিয়াসের গোলের পর তাকে উঠিয়ে ওরতিজকে নামানো হয়। ফলে নিয়ম অনুযায়ী কোনো ভুল না করেই সাত পরিবর্তন করেছে ব্রাজিল।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ব ইজতেমা মার্চে
প্রতিবছর জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে মার্চ মাসে করা হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ এ তথ্য জানিয়েছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ বা শুরায়ী নেজামের শীর্ষ নেতা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারি।
আরো পড়ুন:
শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর ইজতেমা
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত বছরগুলোতে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা হলেও আগামী বছর এক পর্বে হবে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী বা সাদপন্থিদের ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ থাকবে না।
মুফতি কেফায়েতুল্লাহ বলেছেন, “তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ তাবলিগি এ মেহনতকে দ্বীনি মেহনত হিসেবে বিশ্বাস করে। দ্বীনি কাজের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের অনুরোধ শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করে আমরা আগামী বিশ্ব ইজতেমা মার্চে আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, এ সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে সরকারের প্রতি সহযোগিতার শামিল।”
বিশ্ব ইজতেমা সাদপন্থিরা আয়োজন করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সরকারের কাছে তারা লিখিত দিয়ে গতবার শেষবারের মতো ইজতেমার আয়োজন করেছিল। সেক্ষেত্রে তাদের আর ইজতেমা করার সুযোগ নেই।”
বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনটি অনুরোধ তুলে ধরা হয়।
১. আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগেই ইজতেমার দিন-তারিখ ঘোষণা এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে অবহিত করা।
২. ইজতেমা যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানকে অস্থায়ীভাবে কেপিআই (কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন) ঘোষণা।
৩. ইজতেমায় আসা বিদেশি অতিথিদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভিসা সহজীকরণ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা।
ঢাকা/রায়হান/রফিক