ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সপ্তম রাউন্ডে ঝড়ো এক সেঞ্চুরি করেছেন নাঈম শেখ। তার দল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবও পেয়েছে ৯ উইকেটের বড় জয়। তবে শত রানের ইনিংস খেলেও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ২৩ রানে হেরেছে নুরুল হাসান সোহানদের ধানমন্ডি স্পোর্টিং ক্লাব। দিনের অন্য ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ২ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী লিটিমেড। 

শুক্রবার বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে শুরুতে ব্যাট করে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ৪৮.

৪ ওভারে ১৫৯ রানে অলআউট হয়। শফিকুল ইসলাম ও নাজমুল অপু তিনটি করে এবং রিশাদ হোসেন দুই উইকেট নিয়ে তাদের ধসিয়ে দেন। জবাবে ২০.১ ওভারে জয় তুলে নেয় প্রাইম ব্যাংক। ওপেনিং জুটিতেই ১২০ রান পায় তারা। নাঈম শেখ ৬৪ বলে ১০৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। আসরে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তার ব্যাট থেকে ১১টি চার ও পাঁচটি ছক্কা আসে। 

বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে গাজী গ্রুপ ৩৫.১ ওভারে ১৯৯ রানে অলআউট হয়। আবাহনীর মুমিনুল হক ৪ উইকেট নিয়ে তাদের ধসিয়ে দেয়। গাজীর হয়ে এনামুল হক ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন। জবাবে আবাহনী ৩৫ ওভারে জয় তুলে নিলেও ৮ উইকেট হারায় তারা। অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ৪৩ ও চারে নামা মোহাম্মদ মিঠুন ৭৬ রান করেন। মুমিনুল দরকারি ২৪ রান যোগ করেন। 

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে মোহামেডানের বিপক্ষে একা লড়াই করেছেন নুরুল হাসান সোহান। তিনি সেঞ্চুরি করে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হলে হারে ধানমন্ডি। শুরুতে ব্যাট করে মোহামেডান ৬ উইকেট হারালেও মাত্র ২১৬ রান তুলতে পারে। দলটির হয়ে ওপেনার রনি তালুকদার ৩৯ ও তামিম ইকবাল ২৬ রান করেন। তিনে নেমে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন। তাওহীদ হৃদয় ৪৭ বলে ৫৩ ও মেহেদী মিরাজ ২৪ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেন।

জবাবে ধানমন্ডি ৩৮ রানে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেট হারায়। ওপেনার হাবিবুর ১৬ বলে ৩১ রান করেন। ৭৯ রানে ধানমন্ডি ষষ্ঠ উইকেট হারালে হারের পথে পা বাড়ায় তারা। তবে সোহান এক প্রান্ত আগলে লড়াই করে যান। তিনি ৯৩ বলে খেলেন  পুরোপুরি ১০০ রানের ইনিংস। ১০টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন। ম্যাচ হারলেও হন ম্যাচ সেরা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল উইক ট হ র র ন র ইন ধ নমন ড

এছাড়াও পড়ুন:

জিম্বাবুয়েকে চোখ রাঙাচ্ছে ইনিংস হার

কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯২ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া জিম্বাবুয়ের বড় রানের নিচে চাপা পড়ার ভয়টাও নিশ্চয়ই বাড়ছিল।

তবে বুলাওয়ে টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা বোলিংয়ে ভালোই কেটেছে তাঁদের। নিউজিল্যান্ডের ১০ উইকেটই তুলে নিয়ে অলআউট করেছে ৩০৭ রানে। তবে জিম্বাবুয়ে এরপরও স্বস্তিতে নেই। ১৫৮ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর পর ৩১ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে স্বাগতিকেরা। ইনিংস হার এড়াতে এখনো ১২৭ রান করতে হবে জিম্বাবুয়েকে।

আরও পড়ুনআধা ঘণ্টার মধ্যেই গিলের দুই রেকর্ড ৫ ঘণ্টা আগে

দিনের প্রথম বলেই ৭০ বলে ৪১ রান করা উইল ইয়ংকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়েকে প্রথম উইকেট এনে দেন ব্লেসিং মুজারাবানি। এরপর ৬৬ রানের জুটি গড়েন হেনরি নিকোলস ও ডেভন কনওয়ে। এবারও জিম্বাবুয়ের ত্রাতা হন মুজারাবানি। ৫৬ বলে ৩৪ রান করা হেনরি নিকোলসকে ফেরান ব্রায়ান বেটের ক্যাচ বানিয়ে।

এরপর কনওয়ে ১৭০ বলে ৮৮ রান করে তানাকা চিবাঙ্গার বলে ফিরে গেলে আরও চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। সেই চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টাটা করতে পেরেছেন শুধু ড্যারিল মিচেল। শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মধ্যে ১১৯ বলে ৮০ রান করে নিউম্যান নিমহারির বলে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি।

নিউজিল্যান্ডের শেষ ৬ ব্যাটসম্যানের মাত্র দুজন দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পেরেছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জিম্বাবুয়েকে চোখ রাঙাচ্ছে ইনিংস হার