দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় নাইজেরিয়ার একটি মসজিদে হামলার সময় সন্ত্রাসীরা কমপক্ষে ৪৪ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে এবং ১৩ জনকে গুরুতর আহত করেছে। শুক্রবার নাইজার, বুরকিনা ফাসো এবং মালির ত্রি-সীমান্ত অঞ্চলের কাছে অবস্থিত ফোম্বিতা গ্রামে জুমার নামাজের সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই অঞ্চলটি পশ্চিম আফ্রিকার জিহাদি বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত, যা আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সাথে যুক্ত।

শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই হামলার জন্য ইসলামিক স্টেটের সহযোগী সংগঠন ইআইজিএস গ্রুপকে দায়ী করেছে।

এতে বলা হয়েছে, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা একটি মসজিদ ঘিরে ফেলে এবং ‘নিষ্ঠুরর হত্যাকাণ্ড’ চালায়।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলাকারীরা পিছু হটার আগে একটি বাজার এবং বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা সেনাদের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী ৪৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ১৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ