ঢাকার যানজট ঠেলে যখন আশুলিয়ায় জেবুন নেসা মসজিদের সবুজ উঠানে গিয়ে দাঁড়াই, এক অদ্ভুত আনন্দে মনটা ভরে ওঠে। কয়েক কদম হেঁটে মসজিদ থেকে বাইরের লেকের দিকে তাকালেই ভুলে যাই, জায়গাটা একটি তৈরি পোশাক কারখানার প্রাঙ্গণ। যান্ত্রিকতার মধ্যে আসলে এমন কিছুই তো নির্মাণ করতে চেয়েছিলাম।

একসময় উঁচু দেয়ালের কারণে কারখানার ভেতর থেকে পাশের লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করা যেত না। নকশা করার সময় সীমানাপ্রাচীর ভেঙে সরিয়ে দিয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিল, পশ্চিম পাশের এ লেক আশুলিয়ার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ধরে রেখেছে। একসময় এখানে চাষাবাদ হতো। দিনে দিনে শিল্পায়ন হতে হতে এলাকাটার আদি রূপের প্রায় কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। পেয়েছি এ লেককে।

প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি স্থাপনা স্থান পেল টাইম ম্যাগাজিনের ‘দ্য ওয়ার্ল্ডস গ্রেটেস্ট প্লেসেস’–এ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আমির বাঁশ দিয়ে বানান খাট–আলনা–সোফা, বিক্রি হয় দেশ–বিদেশে

নার্সারির ব্যবসা ছিল। এতে মোটামুটি দিন চলেছে, সংসার চলেছে। তবে ভেতরে–ভেতরে ব্যতিক্রমী কিছু করার তাগিদ ছিল। সেই তাগাদা থেকেই নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন। তখন চোখ পড়েছে বাঁশের দিকে। বাইরে কিছু করার সুযোগ নেই, ঘরের জন্য বাঁশ দিয়ে তৈরি করলেন কিছু বাঁশের আসবাব-পণ্য। একসময় বাইরের লোকজনের কাছে এই আসবাবের কথা ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই এসব বাঁশপণ্যের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ধীরে ধীরে অনেকের চাহিদা পূরণ করতে শখের বাঁশপণ্য তৈরির পরিমাণ বাড়তে থাকে। একটা সময় নতুন কিছু সৃষ্টির আনন্দ ও জীবিকা একাকার হয়ে গেছে এই কাজে।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বড়চেগ গ্রামের একসময়ের নার্সারি ব্যবসায়ী মো. আমির হোসেন (সিরাজ) এখন বাঁশপণ্যের কারবারি, কুটির শিল্পের উদ্যোক্তা। যেকোনো ঘর সাজাতে, ঘরের প্রয়োজনীয় আসবাবের পুরাটাই বাঁশ দিয়ে তৈরি করছেন তিনি। তাঁর বাঁশের তৈরি পণ্য দেশ-বিদেশের শৌখিন মানুষের কাছে নিয়মিতই পৌঁছে যাচ্ছে।

সম্প্রতি বড়চেগ গ্রামে আমিরের ‘সিরাজ কুটির শিল্প’ নামের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায়, দোকানভর্তি নানা রকম বাঁশপণ্য সাজিয়ে রাখা। এসবের মধ্যে আছে খাট, আলনা, সোফা, ড্রেসিং টেবিল-টুল, ডাইনিং টেবিল, চেয়ার-টেবিল, আলমারি, ল্যাম্পস্ট্যান্ড, চায়ের ট্রে, ফুলের টবসহ বিভিন্ন ধরনের শোপিস। সবটাই বাঁশ দিয়ে বানানো।

আমির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ব্যতিক্রমী কিছু করার প্রতি আমার আগ্রহ। একটা সময় মনে হলো, কাঠ দিয়ে যদি আসবাব হয়, তাইলে বাঁশ দিয়ে হবে না কেন! শখে শখে নিজের ধারণা, চিন্তাভাবনা থেকে ঘরের জন্য বাঁশ দিয়ে কিছু জিনিস তৈরি করলাম। এর মধ্যে ছিল খাট, সোফা, টিভি র‌্যাক ইত্যাদি। তা দেখে মানুষ আগ্রহ দেখায়। মানুষের আগ্রহ পূরণ করতে গিয়ে এখন এটাই আমার জীবিকা, এতেই আনন্দ পাই।’

এখন খাট, আলমারি, আলনা, চেয়ার–টেবিল, সোফাসহ আমির হোসেন অর্ধশতের বেশি নকশার পণ্য বানান

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমির বাঁশ দিয়ে বানান খাট–আলনা–সোফা, বিক্রি হয় দেশ–বিদেশে