‘অশ্লীলতার’ অভিযোগে ‘কথিত’ পীরের মাজার গুড়িয়ে দিল এলাকাবাসী
Published: 23rd, March 2025 GMT
মাজার শরীফের অন্তরালে ‘অশ্লীলতার’ অভিযোগ তুলে পাবনা সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নে ‘কথিত’ পীরের মাজার ভাঙচুরের পর আগুন দিয়েছেন এলাকাবাসী। শনিবার (২২ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে ইউনিয়নের কায়েমকোলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
দোগাছী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সোহলে রানা বলেন, “কায়েককোলা গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ওরফে সাঈদ নামের এক ব্যাক্তি নিজেকে পীর দাবি করে কয়েক বছর আগে নিজ বাড়িতে মাজার গড়ে তোলেন। তিনি সেখানে বিভিন্ন মাদক সেবনের পাশাপাশি অশ্লীলতা কাজকর্ম করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার এমন কর্মকাণ্ডের একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী তাকে এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার কথা বললেও তিনি কারো কথা শোনেননি।”
তিনি বলেন, “চারদিন আগে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসেও তাকে নিষেধ করেছে। তিনি ৯দেলোয়ার হোসেন ওরফে সাঈদ) থানায় এমন কাজ আর করবেন না বলে মুচলেকাও দিয়ে আসেন। তবে, তিনি আবারো একই কাজ শুরু করেন।”
আরো পড়ুন:
পানি সংকটে শুরু হয়নি সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ
চাঁদপুরে আগুনে পুড়ল ১৪ দোকান, কয়েকশ দলিল
তিনি আরো বলেন, “গতকাল শনিবার সকালে সেখানে একটি মানববন্ধন আয়োজন করেন স্থানীয়রা। এতে কথিত পীরের কিছু মুরিদ বাধা দেওয়ারও চেষ্টা করে। পরে এলাকাবাসী একজোট হয়ে সকাল ১১টার দিকে দেলোয়ার হোসেন ওরফে সাঈদ এর বাড়িতে গড়ে তোলা কথিত মাজার ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন। এর আগেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান দেলোয়ার হোসেন ওরফে সাঈদ।”
পাবনা সদর থানার ওসি আব্দুস সালাম বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। এলাকাবাসীর ভাষ্য, ওই লোক একজন ভণ্ড পীর।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন অভ য গ দ ল য় র হ স ন ওরফ এল ক ব স
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক সচিব মিহির কান্তিসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সাবেক সচিব ও উদ্দীপনের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদারসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. তানজির আহমেদ এ তথ্য জানান।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন- উদ্দীপনের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাকিয়া কে হাসান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ ড. মো. গোলাম আহাদ, সাবেক সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান, সাবেক সদস্য, মো. নজরুল ইসলাম খান, নাহিদ সুলতান, ভবতোষ নাথ, ডা. আবু জামিন ফয়সাল, শওকত হোসেন ও সাবেক নির্বাহী পরিচালক বিদ্যুৎ কুমার বসু।
আবেদনে বলা হয়, দায়িত্ব পালনকালে পরস্পর যোগসাজশে ব্যক্তিগত লাভ ও আত্মসাতের উদ্দেশ্যে মাইক্রোক্রেডিট আইন (২০০৬)-এর ২৪/৩ ধারা ও বিধি (২০১০) এর বিধি ১৯(১) লঙ্ঘন করে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ক্ষুদ্রঋণ তহবিল হতে অনুমোদনহীন নামমাত্র ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট গোল্ডব্রিকস ও ব্যাটারি প্রকল্পে যথাক্রমে প্রায় ৮ কোটি ৯৭ লাখ ৮১ হাজার ৩৭৭ টাকা ও ৪ কোটি ৪৮ লাখ ৪৬৬ টাকা বিনিয়োগ দেখিয়ে তহবিল হতে স্থানান্তর করেছেন। উক্ত জালিয়াতি সম্পর্কিত একটি মামলা দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন।