দলের নাম, মার্কা দেখে ভোট দেবেন না: সারজিস আলম
Published: 24th, March 2025 GMT
কথা নয় কাজ করে দেখাতে চান বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘এতদিন সাধারণ মানুষকে নেতারা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেছে। ভোটের আগের দিন যায় আর কিছু টাকা ধরিয়ে দেয়। আগামীর বাংলাদেশে কেউ আর দলের নাম দেখে মার্কা দেখে ভোট দেবেন না।’
আজ সোমবার দুপুরে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় বিজয় চত্বরে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘ভোটের পরে কোনো কাজের জন্য জনপ্রতিনিধির কাছে গেলে তারা টাকার জন্য হাত পাতেন। নতুন বাংলাদেশ আর এইগুলা আর হতে দেওয়া যাবে না। যিনি জনপ্রতিনিধি হয়ে লুটপাট করবে তাদের আর ভোট দেওয়া যাবে না। ৫ বছরে যদি কোনো নেতার কাছে একদিন কোনো কিছু নেন তাহলে তিনি আপনার রক্ত চুষে খাবে। এই সুযোগ কোনো মেম্বার, চেয়ারম্যান, এমপি বা মন্ত্রী দেওয়া যাবে না।’
সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা ভুল করলে শুধরে দেবেন। আর কোনো দলের অন্ধ ভক্ত হবে না। অন্ধ ভক্ত হলে আপনার মূল্য কেউ দেবে না। আমরা আপনাদের কাছে মার্কা নিয়ে যাব, যদি আপনাদের কথা রাখতে পারি তাহলে ভোট দেবেন। পঞ্চগড় আমার জন্মভূমি তাই আপনাদের কাছে আমার আলাদা দাবি আছে।’
পরে সারজিস আলম বোদা উপজেলায় যান। তিনি সন্ধ্যায় আটোয়ারীতে ইফতার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।