কথা নয় কাজ করে দেখাতে চান বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘এতদিন সাধারণ মানুষকে নেতারা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেছে। ভোটের আগের দিন যায় আর কিছু টাকা ধরিয়ে দেয়। আগামীর বাংলাদেশে কেউ আর দলের নাম দেখে মার্কা দেখে ভোট দেবেন না।’ 

আজ সোমবার দুপুরে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় বিজয় চত্বরে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘ভোটের পরে কোনো কাজের জন্য জনপ্রতিনিধির কাছে গেলে তারা টাকার জন্য হাত পাতেন। নতুন বাংলাদেশ আর এইগুলা আর হতে দেওয়া যাবে না। যিনি জনপ্রতিনিধি হয়ে লুটপাট করবে তাদের আর ভোট দেওয়া যাবে না। ৫ বছরে যদি কোনো নেতার কাছে একদিন কোনো কিছু নেন তাহলে তিনি আপনার রক্ত চুষে খাবে। এই সুযোগ কোনো মেম্বার, চেয়ারম্যান, এমপি বা মন্ত্রী দেওয়া যাবে না।’

সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা ভুল করলে শুধরে দেবেন। আর কোনো দলের অন্ধ ভক্ত হবে না। অন্ধ ভক্ত হলে আপনার মূল্য কেউ দেবে না। আমরা আপনাদের কাছে মার্কা নিয়ে যাব, যদি আপনাদের কথা রাখতে পারি তাহলে ভোট দেবেন। পঞ্চগড় আমার জন্মভূমি তাই আপনাদের কাছে আমার আলাদা দাবি আছে।’

পরে সারজিস আলম বোদা উপজেলায় যান। তিনি সন্ধ্যায় আটোয়ারীতে ইফতার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

গজারিয়ায় পরিবারকে জিম্মি করে অর্ধলক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার একটি বাড়িতে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে স্বর্ণালংকারসহ অর্ধলক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা।

রবিবার (২ নভেম্বর) মধ্যরাত ৩টার দিকে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ফজলুল হকের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।

আরো পড়ুন:

ভাড়া নেওয়ার কথা বলে বাসায় ঢুকে গৃহবধূকে বেঁধে ডাকাতি

বগুড়ায় বৃদ্ধাকে খুন করে ডাকাতি: গ্রেপ্তার ৪, টাকা উদ্ধার

ভুক্তভোগী সাথী বেগম বলেন, “রাত ১টার দিকে একটি শব্দ পেয়ে আমার ঘুম ভাঙে। সে সময় বিষয়টি সেভাবে আমলে নেইনি। রাত ৩টার দিকে উঠে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তে বসলে জানালার গ্রিল কেটে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে দুই যুবক। তারা প্রথমে আমাকে, পরে আমার ছেলে সাবিদকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে তারা আমাদের বিল্ডিংয়ের চারটি ফ্ল্যাটের প্রত্যেকটিতে একের পর এক লুট করতে থাকে। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে এই ডাকাতি।” 

তিনি বলেন, “ডাকতরা নগদ ৩ লাখ টাকা, ৩২ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৯টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা আমাদের সবাইকে একটি রুমে আটকে রেখে বাহির থেকে তালা লাগিয়ে যায়।”

প্রত্যক্ষদর্শী সাবিদ বলেন, “জানালার গ্রিল কেটে রুমের ভেতরে প্রবেশ করে দুইজন। পরে ডাকাত দলের আরো ২২-২৩ জন সদস্য বাসার ভেতরে প্রবেশ করে। বাইরে আরো কয়েকজন পাহারায় ছিল। ডাকাত দলের অধিকাংশ সদস্যের মুখে মাস্ক ও গামছা ছিল। তারা অস্ত্রের মুখে আমাকে জিম্মি করে আমাকে দিয়েই অন্যান্য ফ্ল্যাটের দরজা খোলান। আমার চোখের সামনে একের পর এক রুমে ডাকাতি হয়।”

অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ফজলুল হক বলেন, “আমার তিন ছেলে দেশের বাহিরে থাকে। তাদের পাঠানো প্রায় ৩২ ভরি স্বর্ণালংকার, কয়েকদিন আগে ব্যাংক থেকে তোলা নগদ ৩ লাখ টাকা ও ৯টি মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। তারা আমাদের পরিবার সম্পর্কে অনেক কিছু জানত। কোন রুমে কী আছে, আমরা কবে ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছি এমনকি বাসায় ওয়াইফাই বন্ধ সবই জানত। আমার ধারণা, স্থানীয় লোক এর সঙ্গে জড়িত। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দেব।”

ভুক্তভোগীর প্রতিবেশী লাক মিয়া বলেন, “আমরা ভোর ৫টার দিকে বিষয়টি প্রথমে বুঝতে পারি। পরবর্তীতে বাইরে থেকে লক করা রুম খুলে আমরা আটকে থাকা পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করি। তারপর বিষয়টি জানাজানি হয়।”

রবিবার (৩ নভেম্বর) গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, “সকাল ৬টার দিকে দিকে আমি ৯৯৯ থেকে একটি কল পেয়ে এ বিষয়ে জানতে পারি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।”

ঢাকা/রতন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ