আগামীর বাংলাদেশে মার্কা দেখে কেউ ভোট দেবে না: সারজিস
Published: 24th, March 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি, আগামীর বাংলাদেশে কোনো দলের নাম কিংবা মার্কা দেখে কেউ ভোট দেবে না। কোন লোকটা কেমন, সে কেমন কাজ করছে; তার কথার সঙ্গে কাজের মিল আছে কিনা—এসব দেখে মানুষ আগামীতে ভোট দেবে।’’
সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বিজয় চত্বরে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষকে নেতারা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেছে। তারা শুধু ভোটের আগের দিন ভোট চায়। আর ভোটের পরে একটা ভিজিএফ কার্ড, একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার আগে হাত পেতে বসে থাকে। এই নতুন বাংলাদেশে এগুলো হতে দেওয়া যাবে না। যারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ না করে সাধারণ মানুষকে লুটপাট করবে, তাদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে আর মেনে নেওয়া যাবে না।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা আপনাদের ভাইয়ের মতো, অনেকের সন্তানের মতো; অনেকের নাতির মতো। আমরা কোনো ভুল করলে শুধরে দেবেন। আমরা আপনাদের সেই কথা শুনতে প্রস্তুত। কিন্তু, আপনারা এইটুকু নিশ্চিত করবেন; এখন থেকে কোনো দলের কোনো মার্কার অন্ধ ভক্ত হবেন না। যদি অন্ধ ভক্ত হন, তাহলে আপনার মূল্য কেউ দিবে না। তখন মনে করবে, কিছু দিলেও আছে না দিলেও আছে।’’
সারজিস জেলার পঞ্চগড়ের বোদা, সদর, তেতুঁলিয়া উপজেলায় পৃথক পথসভা করবেন। এসব পথসভায় স্থানীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নাঈম/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গজারিয়ায় পরিবারকে জিম্মি করে অর্ধলক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার একটি বাড়িতে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে স্বর্ণালংকারসহ অর্ধলক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা।
রবিবার (২ নভেম্বর) মধ্যরাত ৩টার দিকে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ফজলুল হকের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
ভাড়া নেওয়ার কথা বলে বাসায় ঢুকে গৃহবধূকে বেঁধে ডাকাতি
বগুড়ায় বৃদ্ধাকে খুন করে ডাকাতি: গ্রেপ্তার ৪, টাকা উদ্ধার
ভুক্তভোগী সাথী বেগম বলেন, “রাত ১টার দিকে একটি শব্দ পেয়ে আমার ঘুম ভাঙে। সে সময় বিষয়টি সেভাবে আমলে নেইনি। রাত ৩টার দিকে উঠে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তে বসলে জানালার গ্রিল কেটে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে দুই যুবক। তারা প্রথমে আমাকে, পরে আমার ছেলে সাবিদকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে তারা আমাদের বিল্ডিংয়ের চারটি ফ্ল্যাটের প্রত্যেকটিতে একের পর এক লুট করতে থাকে। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে এই ডাকাতি।”
তিনি বলেন, “ডাকতরা নগদ ৩ লাখ টাকা, ৩২ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৯টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা আমাদের সবাইকে একটি রুমে আটকে রেখে বাহির থেকে তালা লাগিয়ে যায়।”
প্রত্যক্ষদর্শী সাবিদ বলেন, “জানালার গ্রিল কেটে রুমের ভেতরে প্রবেশ করে দুইজন। পরে ডাকাত দলের আরো ২২-২৩ জন সদস্য বাসার ভেতরে প্রবেশ করে। বাইরে আরো কয়েকজন পাহারায় ছিল। ডাকাত দলের অধিকাংশ সদস্যের মুখে মাস্ক ও গামছা ছিল। তারা অস্ত্রের মুখে আমাকে জিম্মি করে আমাকে দিয়েই অন্যান্য ফ্ল্যাটের দরজা খোলান। আমার চোখের সামনে একের পর এক রুমে ডাকাতি হয়।”
অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ফজলুল হক বলেন, “আমার তিন ছেলে দেশের বাহিরে থাকে। তাদের পাঠানো প্রায় ৩২ ভরি স্বর্ণালংকার, কয়েকদিন আগে ব্যাংক থেকে তোলা নগদ ৩ লাখ টাকা ও ৯টি মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। তারা আমাদের পরিবার সম্পর্কে অনেক কিছু জানত। কোন রুমে কী আছে, আমরা কবে ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছি এমনকি বাসায় ওয়াইফাই বন্ধ সবই জানত। আমার ধারণা, স্থানীয় লোক এর সঙ্গে জড়িত। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দেব।”
ভুক্তভোগীর প্রতিবেশী লাক মিয়া বলেন, “আমরা ভোর ৫টার দিকে বিষয়টি প্রথমে বুঝতে পারি। পরবর্তীতে বাইরে থেকে লক করা রুম খুলে আমরা আটকে থাকা পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করি। তারপর বিষয়টি জানাজানি হয়।”
রবিবার (৩ নভেম্বর) গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, “সকাল ৬টার দিকে দিকে আমি ৯৯৯ থেকে একটি কল পেয়ে এ বিষয়ে জানতে পারি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।”
ঢাকা/রতন/মাসুদ