কিস্তি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে মারধর
Published: 24th, March 2025 GMT
কিস্তির টাকা পরিশোধের কথা বলে ফোন করে ডেকে নিয়ে এনজিওকর্মীকে মারধর করা হয়েছে। ঋণগ্রহীতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। তাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা।
সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার খোকসা বাসস্ট্যান্ডে শফিকুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটে। তিনি সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের খোকসা ব্রাঞ্চের ক্রেডিট অফিসার। অভিযুক্ত মিথুন আলী বেতবাড়িয়া গ্রামের আলাউদ্দিন শেখের ছেলে।
জানা গেছে, সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি থেকে ১ লাখ টাকা ঋণ নেন বেতবাড়ি গ্রামের মিথুন আলী; যা ১২ কিস্তিতে পরিশোধের কথা ছিল। ওই ব্যক্তি পাঁচ কিস্তির টাকা দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। সোমবার দুপুরে গ্রাহক মিথুন তাঁর ঋণের কিস্তি পরিশোধের কথা বলে ক্রেডিট অফিসার শফিকুল ইসলামকে ফোন করে বাসস্ট্যান্ডে ডেকে নেন। জনসমক্ষে দু’জনের মধ্যে কথা চলাকালে মিথুন ও তাঁর এক সঙ্গী মিলে শফিকুলকে মারধর করেন। স্থানায়ীরা আহত শফিকুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সেখানে ভর্তি রাখা হয়। ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারী মিথুনকে আটক করে জনতা। পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আহত শফিকুল বলেন, ‘প্রতি মাসেই গ্রাহক মিথুন কিস্তি মিস করেন। এ মাসে ১০ তারিখে তাঁর কিস্তি ছিল। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয়। এক পর্যায়ে দুপুর ২টার দিকে মিথুন ফোন করে কিস্তি নেওয়ার জন্য আমাকে ডাকেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই হামলা করেন। অন্য হামলাকারী আমার পকেটে থাকা ২২ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে।’
প্রতিষ্ঠানটির এরিয়া ম্যানেজার তানভীর ইসলাম জানান, ঘটনার পরপরই তাদের শাখা ব্যবস্থাপক কবিরুল ইসলাম থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। স্থানীয়রা হামলাকারী মিথুনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মাঈনুল ইসলাম বলেন, জনতা হামলাকারী মিথুনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। এনজিওর লোক থানায় অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।