আর্জেন্টিনার বিপক্ষে শেষ কবে জিতেছিল ব্রাজিল
Published: 25th, March 2025 GMT
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের (কনমেবল) বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বুধবার সকালে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা–ব্রাজিল। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের এই ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনা ক্রমে দানা বাঁধছে।
দুই দলের সবচেয়ে বড় দুই তারকা তারকা লিওনেল মেসি ও নেইমার না থাকলেও এই ম্যাচ ঘিরে উত্তাপের কমতি নেই। এরই মধ্যে ম্যাচটিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নানা আলাপ–আলোচনা। আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি প্রতিপক্ষ ব্রাজিলকে সমীহ করার কথা বলেছেন। আর ব্রাজিল অধিনায়ক মার্কিনিওস বলেছেন, টানা ব্যর্থতার পর এবার তাদের জেতার পালা।
সাম্প্রতিক সময়ে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের ফুটবল অবশ্য দুই মেরুতে। কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে আর্জেন্টিনা রীতিমতো উড়ছে। বিশ্বকাপ বাছাইয়েও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের অবস্থান এখন সবার ওপরে।
আরও পড়ুনআর্জেন্টিনা কোচ স্কালোনি সন্তুষ্ট হবেন না কেন২২ মার্চ ২০২৫অন্যদিকে সেই একই বিশ্বকাপ থেকে ধুঁকছে ব্রাজিলের ফুটবল। গত বছর কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে তারা বিদায় নিয়েছে। ভালো করতে পারছে না বিশ্বকাপ বাছাইয়েও। এমনকি আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ব্রাজিলের সাম্প্রতিক রেকর্ডও হতাশাজনক। সর্বশেষ চার ম্যাচের মধ্যে কোনোটিতেই জেতেনি ব্রাজিল। ৩টিতে হেরেছে, ড্র করেছে আরেক ম্যাচে।
ব্রাজিল–আর্জেন্টিনা সর্বশেষ ৫ ম্যাচআর্জেন্টিনার বিপক্ষে ব্রাজিল সর্বশেষ মাঠে নেমেছিল ২০২৩ সালের নভেম্বরে। মারাকানায় মারামারি ও সংঘর্ষের সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনা জিতেছিল ১–০ গোলে। এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে কাতার বিশ্বকাপের বাছাইয়ে আর্জেন্টিনা–ব্রাজিলের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল।
আরও পড়ুনএই ‘ব্রাজিল’ নিয়ে কী করবে ব্রাজিল ২১ মার্চ ২০২৫একই বছরের সেপ্টেম্বরেও দুই দলের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু নানা বিতর্কিত ঘটনায় বাতিল হয়েছিল সেই ম্যাচ। এর আগে ২০২১ সালের জুলাইয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল।
সেই ম্যাচে আনহলে দি মারিয়ার একমাত্র গোলে ব্রাজিলকে হারিয়ে শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। ২০১৯ সালের নভেম্বরে সৌদিতে দুই দলের মুখোমুখি প্রীতি ম্যাচেও ১–০ গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা।
সর্বশেষ ম্যাচে এভাবেই ব্রাজিলের মাঠে উৎসব করেছিল আর্জেন্টিনা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন ব শ বক প দ ই দল
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে
বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।
বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।
ঢাকা/নাজমুল/রফিক