কক্সবাজারে ঈদগাঁও উপজেলার জঙ্গলবেষ্টিত ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা থামিয়ে একটি মসজিদের ইমামকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া আটটার দিকে সড়কের হিমছড়ি ঢালা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। অপহৃত ব্যক্তির নাম মিজানুর রহমান(৪২)। তিনি রামুর ঈদগড় ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জঙ্গলকাটা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জঙ্গলকাটা মসজিদের ইমাম। পাশাপাশি তিনি স্থানীয় বড়বিল ইবতেদায়ি নুরানি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব রয়েছেন।

অপহরণের শিকার মিজানুর রহমানের ভাই আবু তাহের জানান, তাঁর ভাইকে অপহরণের পর মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে। আজ বিকেল পর্যন্ত পুলিশ মিজানকে উদ্ধার করতে পারেনি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মসিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ১০-১২ কিলোমিটারের ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কটি বনাঞ্চলের ভেতর দিয়ে গেছে। প্রায় সময় এ সড়কে ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনা ঘটে। রাত ১০টা পর্যন্ত এ সড়কে পুলিশের টহল থাকে। জরুরি প্রয়োজনে কেউ সড়ক দিয়ে ঈদগাঁও সদরে কিংবা ঈদগাঁও থেকে ঈদগড়-বাইশারী যেতে চাইলে পুলিশ নিরাপত্তা দেয়। এর মধ্যেও আজ সকালে সড়কের হিমছড়ি ঢালাতে অটোরিকশা থামিয়ে মসজিদের ইমামকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল আটটার দিকে ঈদগড় থেকে ঈদগাঁও বাজারে যাওয়ার জন্য স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় ওঠেন মিজানুর রহমান। তাঁদের সঙ্গে আরও দুজন যাত্রী ছিলেন। সড়কে কাঠের গুঁড়ি ফেলে অটোরিকশা আটকে ১০-১৫ জন সশস্ত্র দুর্বৃত্ত যাত্রীদের মালামাল লুট করে। এরপর তারা মিজানুর রহমানকে ধরে অস্ত্রের মুখে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন যাত্রী জানান, বনদস্যুদের সবার হাতে দেশি অস্ত্র ছিল। কয়েকজন কথা বলছিলেন কক্সবাজারের আঞ্চলিক ভাষায়। দলের কয়েকজনকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বলে সন্দেহ হয়েছে তাঁর।

স্থানীয় লোকজন জানায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ঈদগাঁও থেকে ঈদগড় বাজার যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা স্থানীয় ব্যবসায়ী জাগের হোছাইনকে অপহরণ করে। এক দিন পর ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তিনি মুক্তি পান।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম জ ন র রহম ন অপহরণ র

এছাড়াও পড়ুন:

গাইবান্ধায় বাবা-মাকে মারধর করে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ, অভিযুক্ত আটক

বাড়ির ভেতর ঢুকে বাবা-মাকে মারধরের পর এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের বেপারীপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। বিকেল ৫টার দিকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও মূল অভিযুক্ত আটক করে পুলিশ। 

অভিযুক্ত সঞ্চয় (২০) উপজেলার ফাঁসিতলা এলাকার মোঘলটুলী গ্রামের রাফিউল ইসলাম রাফির ছেলে।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরেন ওই শিক্ষার্থী। কিছুক্ষণ পর সঞ্চয়সহ ১৫-২০ জন লাঠি নিয়ে বাড়িতে হামলা চালায়। তারা ঘরের দরজা-জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং মালামাল লুট করে। এসময় বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মাকে মারধর ও কুপিয়ে আহত করে। পরে তারা শিক্ষার্থীকে টেনেহিঁচড়ে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। 

আরো পড়ুন:

ধামরাইয়ে চালক-হেলপারকে মারধর করে তেলবাহী ট্রাক ছিনতাই 

সিরাজগঞ্জে সহপাঠীদের মারধরে আহত এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু

পুলিশ বিকেল ৫টার দিকে পার্শ্ববর্তী কামারদহ ফেলুপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে চাঁন মিয়ার বাড়ি থেকে অপহৃত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। এসময় অভিযুক্ত সঞ্চয়কে আটক ও তার কাছে থাকা মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ভাষ্য, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে যাওয়া আসার পথে তাকে উত্ত্যক্ত করাসহ বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছিলেন সঞ্চয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্চয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। 

ঘটনাটি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার অভিযান চালায়। একটি বাড়ি থেকে শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত সঞ্চয়কে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”

ঢাকা/মাসুম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আগারগাঁওয়ে সেনা অভিযানে অপহৃত ৪ কিশোর উদ্ধার
  • গাইবান্ধায় বাবা-মাকে মারধর করে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ, অভিযুক্ত আটক
  • অপহরণে বাঁধা দেওয়ায় যুবককে গুলি করে হত্যা, আটক ৩
  • অপহৃতকে ছেড়ে দিয়ে পালানোর সময় অস্ত্র ও গুলিসহ অপহরণকারী আটক
  • ছাড়া পেলেন অপহৃত কৃষক, এক অপহরণকারী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার