নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইলের নাম ও ছবি ব্যবহার করে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে টাকা দাবি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নোয়াখালীর সুধারাম থানা একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সহকারী পরিচালক (তথ্য ও জনসংযোগ) ইফতেখার হোসাইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নোবিপ্রবির ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইসমাইলের নাম ও ছবি ব্যবহার করে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে ০১৮৭৬১২২১৩৫ নম্বর থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে টাকা দাবি করা হচ্ছে। এ ধরনের যেকোনো আর্থিক লেনদেন থেকে সংশ্লিষ্টদের বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হলো।

আরো পড়ুন:

মাদক সেবনের টাকা না দেওয়ায় নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে মারধর

নোবিপ্রবি ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে হয়রানির অভিযোগ

এরা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। তাই এ চক্রকে যথাযথ নিয়মে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট সোপর্দ করার পরামর্শ দেওয়া হলো। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে নোয়াখালীর সুধারাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ব প রব

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ