আসন্ন ঈদ উৎসব ঘিরে সারা দেশে চলছে দেশের জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেলের ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২’। এর আওতায় মার্সেল ব্র্যান্ডের একটি ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মিরপুর কুষ্টিয়ার মিঠুন আলী।

সম্প্রতি আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে মিঠুন আলীর হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মার্সেলের হেড অব বিজনেস মো.

মতিউর রহমান, মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্ক সাউথ জোনের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম রুবেল, ব্র্যান্ড ম্যানেজার উদ্দাম হোসেন মৃধা, আলমডাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দীন ও মার্সেল শোরুম মামুন এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারি ফারুক হোসেন প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

প্রথমবারের মতো ইয়েমেনে এসি রপ্তানি করল মার্সেল 

মার্সেল পণ্য কিনে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ

জানা গেছে, ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২ এর আওতায় চলতি বছরের ঈদুল আজহা পর্যন্ত দেশের যেকোনো শোরুম থেকে মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন ও সিলিং ফ্যান কিনে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। এছাড়া পাচ্ছেন লাখ লাখ টাকার ক্যাশভাউচারসহ নিশ্চিত উপহার।

এই সুবিধার আওতায় চলতি মাসের ১২ তারিখে আলমডাঙ্গা শহরের রেল ব্রিজ রোডে মার্সেলের এক্সক্লুসিভ শোরুম ‘মামুন এন্টারপ্রাইজ’ থেকে ৩৬ হাজার ৮৯০ টাকা দিয়ে ২১৩ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন মিঠুন। কেনার পর তার নাম, মোবাইল নম্বর ও ফ্রিজের মডেল নম্বর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই তার মোবাইলে মার্সেল থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ আসে। ঈদের আগে মাত্র একটি ফ্রিজ কিনে এতো বিশাল অঙ্কের টাকা পেয়ে তার পরিবারে বইছে খুশির বন্যা।

১০ লাখ টাকার চেক গ্রহণকালে মিঠুন বলেন, “একটি ফ্রিজ কিনে এত টাকা একসঙ্গে পাবো তা কখনও কল্পনাই করিনি। মার্সেলের এই টাকায় আমার ভাগ্যের উন্নতি করার চেষ্টা করবো। ক্রেতাবান্ধব এমন মহতী উদ্যোগের জন্য মার্সেল কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

মার্সেলের হেড অব বিজনেস মো. মতিউর রহমান জানান, অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরো দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে মার্সেল। পূর্বের প্রতিটি সিজনে গ্রাহকদের কাছ থেকে মিলেছে অভূতপূর্ব সাড়া। চলমান সিজনেও সারা দেশের ক্রেতাদের থেকে প্রত্যাশিত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, “মার্সেল শুধু ব্যবসা করে না। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও কাজ করছে মার্সেল। এরই অংশ হিসেবে মিঠুন আলী আজ ১০ লাখ টাকার মালিক। এই টাকা তার জীবন পুরোপুরি পরবর্তন করে দেবে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১০ ল খ ট ক

এছাড়াও পড়ুন:

গজারিয়ায় পরিবারকে জিম্মি করে অর্ধলক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার একটি বাড়িতে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে স্বর্ণালংকারসহ অর্ধলক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা।

রবিবার (২ নভেম্বর) মধ্যরাত ৩টার দিকে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ফজলুল হকের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।

আরো পড়ুন:

ভাড়া নেওয়ার কথা বলে বাসায় ঢুকে গৃহবধূকে বেঁধে ডাকাতি

বগুড়ায় বৃদ্ধাকে খুন করে ডাকাতি: গ্রেপ্তার ৪, টাকা উদ্ধার

ভুক্তভোগী সাথী বেগম বলেন, “রাত ১টার দিকে একটি শব্দ পেয়ে আমার ঘুম ভাঙে। সে সময় বিষয়টি সেভাবে আমলে নেইনি। রাত ৩টার দিকে উঠে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তে বসলে জানালার গ্রিল কেটে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে দুই যুবক। তারা প্রথমে আমাকে, পরে আমার ছেলে সাবিদকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে তারা আমাদের বিল্ডিংয়ের চারটি ফ্ল্যাটের প্রত্যেকটিতে একের পর এক লুট করতে থাকে। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে এই ডাকাতি।” 

তিনি বলেন, “ডাকতরা নগদ ৩ লাখ টাকা, ৩২ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৯টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা আমাদের সবাইকে একটি রুমে আটকে রেখে বাহির থেকে তালা লাগিয়ে যায়।”

প্রত্যক্ষদর্শী সাবিদ বলেন, “জানালার গ্রিল কেটে রুমের ভেতরে প্রবেশ করে দুইজন। পরে ডাকাত দলের আরো ২২-২৩ জন সদস্য বাসার ভেতরে প্রবেশ করে। বাইরে আরো কয়েকজন পাহারায় ছিল। ডাকাত দলের অধিকাংশ সদস্যের মুখে মাস্ক ও গামছা ছিল। তারা অস্ত্রের মুখে আমাকে জিম্মি করে আমাকে দিয়েই অন্যান্য ফ্ল্যাটের দরজা খোলান। আমার চোখের সামনে একের পর এক রুমে ডাকাতি হয়।”

অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ফজলুল হক বলেন, “আমার তিন ছেলে দেশের বাহিরে থাকে। তাদের পাঠানো প্রায় ৩২ ভরি স্বর্ণালংকার, কয়েকদিন আগে ব্যাংক থেকে তোলা নগদ ৩ লাখ টাকা ও ৯টি মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। তারা আমাদের পরিবার সম্পর্কে অনেক কিছু জানত। কোন রুমে কী আছে, আমরা কবে ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছি এমনকি বাসায় ওয়াইফাই বন্ধ সবই জানত। আমার ধারণা, স্থানীয় লোক এর সঙ্গে জড়িত। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দেব।”

ভুক্তভোগীর প্রতিবেশী লাক মিয়া বলেন, “আমরা ভোর ৫টার দিকে বিষয়টি প্রথমে বুঝতে পারি। পরবর্তীতে বাইরে থেকে লক করা রুম খুলে আমরা আটকে থাকা পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করি। তারপর বিষয়টি জানাজানি হয়।”

রবিবার (৩ নভেম্বর) গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, “সকাল ৬টার দিকে দিকে আমি ৯৯৯ থেকে একটি কল পেয়ে এ বিষয়ে জানতে পারি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।”

ঢাকা/রতন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ