চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেও লোকসানে আছে ম্যাকসনস স্পিনিং মিলস লিমিটেড। অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৭ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) ছিল ৮৬ পয়সা।

সামগ্রিকভাবে অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে লোকসানে আছে। এ সময় কোম্পানিটির ইপিএস বা শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ঋণাত্মক ৩ টাকা ৪৯ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে এই পরিমাণ। আগের অর্থবছরের একই সময় লোকসান হয়েছিল ১ টাকা ৯২ পয়সা।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি ম্যাকসন স্পিনিংয়ের পরিচালনা পর্ষদ দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসানের কারণ সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কাঁচামালের ব্যয় বৃদ্ধি, বেতন-মজুরি, পরিষেবা ব্যয়, ঋণের সুদ ব্যয় ও অন্যান্য আর্থিক ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়া। পরিচালন লোকসানের কারণে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্যও কমেছে।

জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ম্যাকসন স্পিনিংয়ের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহও(এনওসিএফপিএস) ছিল ঋণাত্মক—মাইনাস ৫ টাকা ৫০ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল মাইনাস ২ টাকা ৮২ পয়সা।

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শেষে ম্যাকসন স্পিনিংয়ের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ৮ টাকা ৮১ পয়সা, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সময়ে যা ছিল ১২ টাকা ২৯ পয়সা।

গত এক বছরে ম্যাকসন স্পিনিংয়ের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ২২ টাকা ৩০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ৭ টাকা।

গত কয়েক বছরে ম্যাকসন স্পিনিং তেমন একটা লভ্যাংশ দেয়নি। ২০২২ সালে ১০ শতাংশ, ২০২১ সালে ১১ শতাংশ, ২০২০ সালে ২ শতাংশ, ২০১৯ সালে ২ শতাংশ ও ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ম্যাকসন স্পিনিং।

এ ছাড়া ২০১৭ সালে ৫ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৫ শতাংশ, ২০১৩ সালে ৫ শতাংশ ও ২০১২ সালে ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে ম্যাকসনস স্পিনিং।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম য কসন স প ন ড স ম বর

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি 

সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (গভর্নেন্স পারফরমেন্স মনিটরিং সিস্টেম- জিপিএমএস)’ বাস্তবায়নে অর্থ উপদেষ্টা  সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে তিন সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করেছে সরকার। 

সম্প্রতি এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

কমিটিতে বাকি দুই সদস্য হলেন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকারি কাজের জবাবদিহিতা, দক্ষতা ও জনকল্যাণ নিশ্চিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) পরিবর্তে নতুন সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (জিপিএমএস) চালু করা হয়েছে। এই জিপিএমএস বাস্তবায়নে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব কমিটিকে সহায়তা করবেন। তাছাড়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।

এ কমিটি জিপিএমএস বাস্তবায়নের বিষয়ে সার্বিক দিক-নির্দেশনা দেবে। মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসে সেকশন ১-এর আওতায় প্রস্তুত করা পরিকল্পনা অনুমোদন দেবে এবং অর্থবছর শুরুর আগে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করবে এ কমিটি।

এছাড়া, প্রতি অর্থবছর শেষে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসের সার্বিক মূল্যায়ন পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেবে। জিপিএমএস বিষয়ে সরকারের দেওয়া অন্য যেকোনো দায়িত্ব পালন করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বেসরকারি ঋণ তলানিতে, তবে ঋণপত্র খোলায় গতি
  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • টানা দুই মাস আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে
  • তিন মাসে গৃহকর আদায় কমেছে ৩০ কোটি টাকা
  • জুলাই–সেপ্টেম্বরে ঋণছাড়ে এগিয়ে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া, কোনো অর্থ দেয়নি চীন
  • সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি 
  • ২৯ দিনে প্রবাসী আয় ২৪৩ কোটি ডলার
  • ১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা